জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে জ্যেষ্ঠ বিচারকি হাকিম কেএম মহিউদ্দিনের আদালতে অপহরণ, হত্যা ও গুম করার বর্ণনা দিয়ে হাবিলদার আসাদুজ্জামান জবানবন্দি দেন।
এই নিয়ে এ খুনের ঘটনায় হত্যার দায় স্বীকার করে এবং হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ মোট ২০ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন।
এছাড়া র্যাবের ১৩ সদস্যসহ মোট ১৮ জন আদালতে সাক্ষী হিসেবে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন।
গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ সাতজন অপহৃত হন। ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয় জনের ও পরদিন একজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এই ঘটনায় নজরুল ইসলামসহ ৫ জনকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ফতুল্লা মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
অন্যদিকে আইনজীবী চন্দন সরকার ও তার গাড়ির চালক ইব্রাহিম অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় তার জামাতা বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে আরেকটি মামলা দায়ের করেন ফতুল্লা মডেল থানায়।