বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় চরমোনাইর পীর হযরত সৈয়দ রেজাউল করীম উদ্বোধনী বয়ান করেন।
আগামী রোববার সকালে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে এই মিনি ইজতেমা শেষ হবে।
ধরলা ব্রিজ পূর্বপাড়ের ফজলুল করীম (রহ.) জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসা ময়দানের এ ইজতেমায় বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের বিপুল সংখ্যক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।
প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী উদ্বোধনী বয়ানে চরমোনাই পীর মুসলিম উম্মতের নাজাতের জন্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নছিয়ত পেশ করেন।
আয়োজকরা জানান, চরমোনাইর পীর ছাড়াও ইজতেমার এই তিন দিনে ২০/২৫ জন দেশ-বরেণ্য আলেম-ওলামা ও চরমোনাইর মরহুম পীর ফজলুল করীমের খলিফা ও সাহেবজাদারা নসিয়ত পেশ করবেন।
ইজতেমা এন্তেজামিয়া কমিটির আহ্বায়ক আলহাজ জহুরুল হক জানান, প্রতিবছরের মতো এবারও কুড়িগ্রাম জেলা শাখা মুজাহিদ কমিটি তিন দিনব্যাপী এই মিনি ইজতেমার আয়োজন করে।
গতবার ইজতেমায় প্রায় ৮ লক্ষাধিক মুসল্লির সমাগম হিয়েছিল।
এবার ১০ লক্ষাধিক মুসল্লির ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রায় ৪০ একর জমির উপর ১৮শ সামিয়ানাবিশিষ্ট পৃথকভাবে পুরুষ ও মহিলাদের প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
জহুরুল হক জানান, ইজতেমা আয়োজক কমিটির উদ্যোগে ৩শ এবং ব্যক্তি উদ্যোগে প্রায় ৫শ স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার স্থাপন করা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ছাড়াও এন্তেজামিয়া কমিটির পক্ষ থেকে ৪শ স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত করা হয়েছে।
এছাড়া তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবার জন্য একটি অস্থায়ী হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছে।
সদর থানার ওসি আব্দুল বাতেন মিয়া জানান, নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা হয়েছে ইজতেমা এলাকা।