লালমোহনের মঙ্গল শিকদার এলাকা থেকে মনপুরা দ্বীপে যাওয়া পথে বাদশার চরের কাছে বুধবার দুপুরের পর ট্রলারটি ডুবে যায় বলে তজমুদ্দিন থানার ওসি হুমায়ূন কবির জানিয়েছেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পিকনিকের ওই ট্রলারে আনুমানিক অর্ধশত যাত্রী ছিলেন।
ওই ট্রলারে থাকা সকল যাত্রীকেও উদ্ধার করা হয়েছে। তারা নিজের এলাকায় ফিরে গেছে বলে জানান তিনি।
“স্রোতের ধাক্কায় ভারসাম্য রাখতে না পেরে ট্রলারটি ডুবে যায় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে,” বলেন ওসি।
তিনি জানান, নদী তীরের কাছের ডুবে যাওয়া পর একটি ডুবোচরে ট্রলারটি আটকে ছিল। পুলিশ ও কোস্টগার্ড গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় ট্রলারটিকে উদ্ধার করে।
তজুমদ্দিন উপজেলার চাচাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু তাহের মিয়া জানান, সকালে লালমোহন উপজেলার মঙ্গল শিকদার এলাকার ফ্রেন্ডস ক্লাবের পক্ষ থেকে প্রায় দেড়শ জন পিকনিক করতে দুটি ট্রলারে করে মনপুরা যাচ্ছিল।
পথে কাটাখালি এলাকায় পৌঁছুলে জসিম মাঝির ট্রলারটি অর্ধশত যাত্রী নিয়ে ডুবো চরে ধাক্কা খেয়ে মেঘনায় ডুবে যায়। তবে ঘটনার পর অপর ট্রলারের যাত্রীরা ডুবে যাওয়া ট্রলারের সকল যাত্রীদের উদ্ধার করে অন্য একটি ট্রলারে করে তজুমদ্দিনে নিয়ে আসে।
ডুবে যায়া ট্রলারের যাত্রী শ্যামল, ভুট্টু ও বাহার জানান, তাদের ট্রলারে থাকা সকলকে উদ্ধার করা হয়েছে। তারা সকলেই ভালো আছেন।
তবে ট্রলারে থাকা মালামাল ও মোবাই ফোন মিলে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তারা।