পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার হাফিজুর রহমান তনু (৩৫) ধারে দেওয়া টাকা ফেরত না পেয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটান।
তনু নিহত বাচ্চুর মিনিবাসে সহকারী হিসাবে কাজ করতেন। তিনি যশোরের কোতোয়ালী থানার পুরাতন কসবা কাজীপাড়া গ্রামের প্রয়াত খন্দকার শামসুর রহমানের ছেলে।
তার শশুরবাড়ি নেত্রকোণা সদর উপজেলার মৌজেবালী গ্রামে।
বুধবার রাতে টঙ্গীর এরশাদনগর থেকে গ্রেপ্তারের পর ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তনু হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন বলে জেলার পুলিশ সুপার মঈনুল হক জানান।
বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান।
১৬ ডিসেম্বর সকালে ভালুকার হবিরবাড়ি ইউনিয়নের লবণকোটা গ্রাম থেকে ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বাচ্চু, তার স্ত্রী পারুল আক্তার (২৮) এবং তাদের দুই মেয়ে জিনিয়া আক্তার (৬) ও রিমা আক্তারের (২) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
রাতের কোনো এক সময় বাচ্চু ও তার স্ত্রীকে কুপিয়ে এবং দুই মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় বলে সে সময় পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়।
পরে বাচ্চুর বাবা ওয়ারেছ আলী অজ্ঞাতপরিচয় পাঁচজনকে আসামি করে ভালুকা মডেল থানায় একটি মামলা করেন; তদন্তের দায়িত্ব পায় গোয়েন্দা পুলিশ।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এএসআই আবুল কাশেম জানান, হত্যাকাণ্ডের পরদিন নেত্রকোনা থেকে তনুর স্ত্রী হোসনা (৩০), ভায়রা রফিকুল ইসলাম রফিক (৪২) এবং ভালুকা থেকে আরও চারজনকে আটক করে পুলিশ।
তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে হোসনা ও রফিককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
"প্রথমে বাসের মধ্যে দা দিয়ে কুপিয়ে বাচ্চুকে হত্যা করে। পরে ঘরে ঢুকে একই দা দিয়ে বাচ্চুর স্ত্রীকে কুপিয়ে এবং তার দুই সন্তানকে নাকে-মুখে গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।"
হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত সেই দা সংবাদ সম্মেলনে দেখানো হয়। ১৭ ডিসেম্বর সকালে পারুলের বিছানার নিচ থেকে পুলিশ ওই দা উদ্ধার করে।
একাই চারজনকে হত্যার পর বাচ্চুর ঘরে থাকা টাকা, স্বর্ণালংকার, টিভি ও কাপড় চোপড় নিয়ে পালিয়ে যায় বলে পুলিশ সুপার জানান।