জগলুলের শোক সভায় জগলুলকে আমন্ত্রণ

প্রয়াত সাংবাদিক জগলুল আহমেদ চৌধূরীর শোক সভায় তাকেই আমন্ত্রণ জানানোয় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেইসবুকে সমালোচনায় পড়েছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়।

সোস্যাল মিডিয়া ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Dec 2014, 05:46 PM
Updated : 24 Dec 2014, 05:55 PM

কয়েকদিন ধরেই ওই আমন্ত্রণপত্রের একটি আলোকচিত্র ঘুরছে ফেইসবুকে।

ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়া ওই আমন্ত্রণ পত্রের বাম পাশের উপরের অংশে রয়েছে প্রয়াত জগলুল আহমেদ চৌধূরীর ছবি। ডান পাশে কালো ব্যাজ।

বাম পাশের নিচে প্রেরকের জায়গায় লেখা রয়েছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলীর নাম ও সরকারী মনোগ্রাম। তার ডান পাশে প্রাপকের স্থানে প্রয়াত জগলুল আহমেদ চৌধূরীর নামটি সাদা কাগজে আটকে দেয়া হয়েছে। 

প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মোস্তাফিজ মাসুদ নামে একজন ফেইসবুকে লিখেছেন, “ঘুমপ্রিয় মন্ত্রণালয়ের চিরনিদ্রায় যাওয়া ব্যক্তিকে জাগানোর চেষ্টা।”

ঘুমন্ত ভূত নামে একটি ফেইসবুক আইডি থেকে মন্তব্য করা হয়েছে, “সমাজকল্যাণমন্ত্রী স্কুলে বসে সিগারেট টানতে পারে। এ আর এমন কি!”

মেহেদী হাসান ইমাম নামে একজন লিখেছেন, “আজব মন্ত্রীদের আজব কাহিনী।”

আলী হোসেন নামে একজন আবার বলছেন, “এর দায়ভার সবই কি মন্ত্রী মহোদয়ের ? সচিব উপসচিব সাহেবরা কী করে ? দাওয়াত কার্ড দেওয়ার দায়িত্ব কার ছিল ?”

হাসান আল মামুন লিখেছেন, “ভুলে গেলে চলবে না বাংলাদেশ সব সম্ভবের দেশ..।”

তানজিব সারোয়ার নামে একজন লিখেছেন, “অশিক্ষিত পাগলকে যদি মন্ত্রী করা হয় তাহলেতো এর চেয়ে বেশি ভালো কিছু আশা করা যায় না।”

গত ২৯ নভেম্বর রাত ৮টার দিকে কারওয়ানবাজার এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন প্রবীণ সাংবাদিক জগলুল আহমেদ চৌধূরী। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর।

জগলুল আহমেদের গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার পিয়াম গ্রামে। তার বাবা নাসিরউদ্দিন চৌধুরী যুক্তফ্রন্ট সরকারের আইনমন্ত্রী ছিলেন।

জগলুল আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন। নিউ ইয়র্ক টাইমসের বাংলাদেশ প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কাজ করতেন ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের উপদেষ্টা সম্পাদক হিসেবে।

জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির স্থায়ী সদস্যসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন জগলুল আহমেদ। ১৯৮৮-৮৯ সালে অবিভক্ত বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহকারী মহাসচিব ছিলেন তিনি।