সেনা কর্মকর্তাদের সতর্ক ও প্রস্তুত থাকার আহ্বান

স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সেনাবাহিনীর নতুন কর্মকর্তাদের সতর্ক ও প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Dec 2014, 04:21 PM
Updated : 24 Dec 2014, 05:33 PM

বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির (বিএমএ) প্যারেড গ্রাউন্ডে ৭১তম বিএমএ লংকোর্স এবং ৪২তম বিশেষ কোর্সের রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান শেষে শেখ হাসিনা কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, “আজ থেকে মাতৃভূমির স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার দায়িত্ব আপনাদের ওপর অর্পিত হল। ফলে এই দায়িত্ব পালনের জন্য আপনাকে সর্বদাই সতর্ক ও প্রস্তুত থাকতে হবে।”

জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করাই হবে সেনা সদস্যদের জীবনে প্রথম ও প্রধান ব্রত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

“আপনাদেরকে নিঃস্বার্থভাবে দেশ ও জনগণের সেবা করতে হবে। এ কাজে কখনোই পিছ পা হবেন না।”

বুধবার দুপুরে চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিতে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী প্রশিক্ষণ শেষ করা ক্যাডেটদের মধ্যে পদক বিতরণ করেন।

এর আগে, প্রধানমন্ত্রী একটি খোলা গাড়িতে করে প্যারেড পরিদর্শন করেন।

প্রধানমন্ত্রী প্যারেড গ্রাউন্ডে এসে পৌঁছলে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূইয়া তাকে স্বাগত জানান।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশে ও বিদেশে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে তাদের দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের জন্য সকল মহলের প্রশংসা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে বলেও প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা দেশের জনগণের একটি অবিচ্ছিন্ন অংশ। আপনারা গণমানুষের সুখ-দুঃখ এবং হাসি-কান্নার সমঅংশীদার।”

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বে এখন একটি প্রতিশ্রুতিশীল ও শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। বাংলাদেশ এখন জাতিসংঘ শান্তি মিশনে সর্বোচ্চসংখ্যক সৈন্য পাঠিয়ে বিশ্বে শান্তি বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী আধুনিকায়ন ও সময়োপযোগী করতে তার সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন।

শেখ হাসিনা বলেন, “শুধু নতুন স্থাপনাই প্রতিষ্ঠা করা নয়- বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীকে আরও আধুনিক ও সময়োপযোগী করতে অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জামও ক্রয় করা হয়েছে।”

প্রধানমন্ত্রী কমিশনপ্রাপ্ত সেনাকর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, “আপনাদের জীবনে আজকের এ দিনটি অত্যন্ত আনন্দের এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। আজ আপনারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন গর্বিত কর্মকর্তা হিসেবে বৃহত্তর কর্মজীবনে প্রবেশ করছেন।”

১৪ জন নারী ক্যাডেটসহ মোট ১৫৯ জন ক্যাডেট ৭১তম বিএমএ লং কোর্স এবং ৪২ বিএমএ বিশেষ কোর্স থেকে ৪ জন ক্যাডেটসহ ১৭ জন ক্যাডেট বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন।

পরে ক্যাডেটরা শপথবাক্য পাঠ করেন এবং তাদের পিতা-মাতা ও অভিভাবকরা তাদের র‌্যাংক ব্যাজ পরিয়ে দেন।

সেনাবাহিনী প্রধানের সঙ্গে বিএমএ কমান্ডেন্ট মো. জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার এ সময় উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রিসভার সদস্য, প্রধানমন্ত্রী উপদেষ্টা, সাংসদ, কূটনীতিক এবং উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।