ছবি বিশ্বাসের উপর হামলায় বিক্ষোভ, ভাংচুর

নেত্রকোণার সংসদ সদস্য ছবি বিশ্বাসের উপর হামলার প্রতিবাদে তার নির্বাচনী এলাকায় বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ। 

নেত্রকোণা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Dec 2014, 03:09 PM
Updated : 24 Dec 2014, 03:09 PM

বুধবার বিকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে কলমাকান্দা ও দুর্গাপুর উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় বিএনপি অফিসসহ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।

এসব হামলার জন্য বিএনপি আওয়ামী লীগকে দায়ী করলেও আওয়ামী লীগ তা অস্বীকার করেছে।

বুধবার দুপুরে ঢাকার বকশীবাজারে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ কর্মীদের সংঘর্ষের মধ্যে ঢাকা মেডিকেলের সামনে হামলায় আহত হয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য ছবি বিশ্বাস।

হামলাকারীরা তার গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। লাঠির আঘাতে তিনি নিজে মাথা ও কানে আঘাত পেয়েছেন।

নেত্রকোনা-১ আসনের এই সংসদ সদস্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

বিএনপি সমর্থকরা এ হামলা চালিয়েছে বলে পুলিশ দাবি করলেও বিএনপি তা অস্বীকার করেছে।

মিছিলকারীরা কলমাকান্দা বাজারে উপজেলা বিএনপি অফিস, কেন্দ্রীয় এক বিএনপি নেতার আইন পেশার চেম্বার, এক বিএনপি নেতার দোকান, একটি রড সিমেন্টের দোকানে হামলা ও ভাংচুর চালায়।

কলমাকান্দা থানার ওসি বশির আহমেদ জানান, উত্তেজনা থাকলেও তা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বিএনপি অফিসে কিছু যুবক হামলা করেছে, তবে তেমন কিছু ভাংচুর হয়নি।

এদিকে দুর্গাপুরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে এসে এক প্রতিবাদ সভা করে।

এতে বক্তব্য রাখেন দুর্গাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মো. এমদাদুল হক খান, দুর্গাপুর পৌরসভার মেয়র শ ম জয়নাল আবেদীন, সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহীনুর আলম সাজু প্রমুখ।

স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যা ৭টার দিকে একটি মিছিল থেকে স্থানীয় বিএনপি অফিসে হামলা চালানো হয়।

দুর্গাপুর থানার ওসি রেজাউল ইসলাম জানান, বিএনপি অফিসে কে বা কারা হামলা করেছে বিষয়টি জানা নেই।

জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম মনিরুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সরকার দলের সমর্থকরা তাদের দলীয় কার্যালয়ে ভাংচুর, কয়েকজন নেতার অফিস ও দোকানে হামলা চালিয়েছে।

জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নেত্রকোণা পৌর মেয়র প্রশান্ত কুমার রায় বলেন, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ কিংবা ছাত্রলীগ এসব হামলার সঙ্গে জড়িত নয়।