বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকের ওই আগুন প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ৯টার দিকে নিয়ন্ত্রণে আসে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. জসিম উদ্দিন।
রাত সাড়ে ১০টায় আগুন পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয় বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, “ছয়টি ইউনিটের ২০টি গাড়ির নিয়ে একশর বেশি দমকল বাহিনীর সদস্য আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেন। এতে র্যাব-পুলিশ ও স্থানীয়রা সহযোগিতা করেন।
“মার্কেটের সব দোকান টিনশেড হওয়ায়, দোকানগুলো একটি অন্যটির সাথে সংযুক্ত থাকায় এবং সেখানে একটি আসবাব তৈরির কারখানায় রাসায়নিক থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তবে পেছনের বস্তিতে আগে আগুন লাগে, না দোকানে তা নির্ধারণ করতে পারিনি।”
ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন বলেন, “আগুনে ১২০টি দোকান ও ৬০টি এক কক্ষবিশিষ্ট কাঁচা বসতঘর পুড়ে গেছে, যাতে প্রায় ৮০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।”
মার্কেটের ব্যবসায়ী মো. সারোয়ার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মার্কেটে মোট ৩১৪টি দোকান আছে। মার্কেটের পেছনের বস্তি থেকে আগুন লেগেছে।”
ঘটনাস্থলে দেখা গেছে মার্কেটের পেছনের অংশে বেশিরভাগ দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল। এসময় দোকানের মালিক-কর্মচারীরা মার্কেটের মালামাল বের করতে ছুটোছুটি শুরু করেন।
কেউ কেউ দোকানের পণ্য বের করতে না পেরে কাঁদছিলেন।
মার্কেটের বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজ (১২৮ নম্বর দোকান) নামের একটি কাপড়ের দোকানের মালিক মো. শাকিল বলেন, “কিছুই বের করতে পারিনি। সব পুড়ে গেছে।”