ঘষিয়াখালী চ্যানেলে যুক্ত মংলার ১৯টি খাল ও রামপাল উপজেলার ১৩টি খাল খননের জন্য এই খাদ্যশস্য ব্যবহার করা হবে বলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
বুধবার মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “২০১৪-১৫ অর্থ বছরের কাবিখা কর্মসূচির আওতায় এই বরাদ্দ দিয়ে ঘষিয়াখালী চ্যানেলের নাব্য বজায় ও অবৈধ বাঁধ অপসারণ করা হবে।”
মংলার নালা ও রামপালের কুমার নদী ভরাট হয়ে ভারত-বাংলাদেশ নৌ প্রটোকল রুট ও দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে দেশের নৌবাণিজ্য যোগাযোগ পথ হিসেবে ব্যবহৃত ঘষিয়াখালী চ্যানেল প্রায় তিন বছর ধরে বন্ধ রয়েছে।
তখন থেকে সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে শেলা নদীকে বিকল্প পথ হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ-বিআইডব্লিউটিএ। ওই পথেই গত ৯ ডিসেম্বর সাড়ে তিন লাখ লিটার ফার্নেস অয়েল নিয়ে একটি ট্যাংকার ডুবে গেলে বিপর্যয়ের হুমকির মুখে পড়ে সুন্দরবন।
এরপর গত ১৫ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুলনার বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করে ঘষিয়াখালী চ্যানেলের নৌপথ উদ্ধারের নির্দেশ দেন।
মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মংলা ও রামপাল উপজেলার নদীগুলোর নাব্য সংকট ও অবৈধ বাঁধের কারণে মংলা বন্দরের পণ্যবাহী কার্গো/জাহাজ মোড়লগঞ্জ হয়ে ঘষিয়াখালী চ্যানেল দিয়ে না এসে সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে যাতায়াত করছে।
এতে পণ্য পরিবহনের ব্যয় বাড়ার পাশাপাশি সুন্দরবনের সৌন্দর্যহানি ও জীববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে স্থানীয় প্রশাসন মনে করছে।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক ঘষিয়াখালী চ্যানেলের নাব্যতা বজায় রাখা, ওই এলাকার জলবদ্ধতা দূর করা, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, সুন্দরবনের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের স্বার্থে মংলা উপজেলার ১৯টি নদী এবং রামপাল উপজেলার ১৩টি নদী সংস্কারের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে চিঠি লেখেন।
এরপর প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়ায় ওই চ্যানেল উদ্ধারে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।