ভোলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, বুধবার সকালে সম্মেলনস্থল মনপুরা উপজেলা মিলনায়তনে এ সংঘর্ষে হয়। এ সময় পুলিশ কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তাৎক্ষণিকভাবে আহত কারও নাম পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।
মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আল মমিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, আহতদের মধ্যে গুরুতর কয়েকজনকে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা জানান, মনপুরায় ১০ বছর পর দলের সম্মেলন ও কাউন্সিল হচ্ছে। এ নিয়ে পদ প্রত্যাশীদের মধ্যে কয়েকদিন থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এদের মধ্যে সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন এবং হাজিরহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহরিয়ার দ্বীপক চৌধুরীর সমর্থকরা মুখোমুখি অবস্থানে ছিল।
সকালে সম্মেলন স্থলে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার পর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ঘণ্টাখানেক থেমে থেমে কয়েক দফায় সংঘর্ষের পর খবর পেয়ে মনপুরা থানার পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পরে দুপুর ১২টার দিকে সম্মেলন শুরু হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং বন ও পরিবেশ উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ নজরুল ইসলাম বাবু ও ভোলা-৩ আসনের সাংসদ নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন।
ভোলার সহকারী পুলিশ সুপার মাহাফুজুর রহমান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পরও ফের সংঘর্ষের আশংকায় সম্মেলন কেন্দ্র ও এর আশপাশের এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।