বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হত্যা, গণহত্যা, নির্যাতন, আটক, ধর্ষণ, মুক্তিপণ আদায়, অগ্নিসংযোগ ও ষড়যন্ত্রের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধে ১৬টি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে সাবেক এই মুসলিম লীগ নেতার বিরুদ্ধে।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের একটি মাইক্রোবাসে করে মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে কায়সারকে পুরাতন হাই কোর্ট এলাকায় ট্রাইব্যুনালে নিয়ে আসা হয়।
এরপর তাকে ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায় রাখা হয় বলে হাই কোর্ট পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আবদুস সালাম জানান।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ সকাল ১০টার পর এ মামলার রায় ঘোষণা করবে।
১৬ ঘটনায় অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে চলতি বছর ২ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনালে সৈয়দ কায়সারের বিচার শুরু হয়। সাক্ষ্য ও জেরা শেষে গত ২০ অগাস্ট মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন বিচারক। মামলার কার্যক্রম চলাকালে জামিনে থাকলেও ওইদিন কায়সারকে কারাগারে পাঠায় ট্রাইব্যুনাল।
রায়কে কেন্দ্র করে যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
সকালে হাই কোর্টসংলগ্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় ট্রাইব্যুনালের বিভিন্ন প্রবেশপথে রয়েছে পুলিশ ও র্যা বের অবস্থান। হাই কোর্ট এলাকায় প্রবেশকারীদের পরিচয়পত্র পরীক্ষা করে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। গণমাধ্যম কর্মীদেরও নিরাপত্তা তল্লাশির পর ট্রাইব্যুনালে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে।