বিমান চেয়ারম্যান জামাল উদ্দীন আহমেদকে সোমবার বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ডাকা হয়েছিল। তবে ওমরাহ পালনে সৌদি আরবে থাকায় তিনি অনুপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি ফারুক খান সাংবাদিকদের বলেন, বিমান চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতি নিয়ে কমিটির সদস্যরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
“ওমরাহ পালনের কোনো নির্দিষ্ট দিনক্ষণ নেই। তারপরও তিনি কেন এই সময়ে সৌদি আরবে গেলেন, তারপরও সেটা কাউকে তিনি জানাননি। এতে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে।”
গত এক বছরজুড়ে বিমানবন্দরে চোরাই সোনার অসংখ্য চালান আটকের পর গত ১৮ নভেম্বর চোরাচালানে জড়িত অভিযোগে বিমানের এক উপমহাব্যবস্থাপকসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সোনা চোরাচালানে বিমান কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ততার তথ্য মেলার পর রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এই সংস্থার চেয়ারম্যান জামাল উদ্দীনের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে তাকে অপসারণের দাবি ওঠে সংসদে।
এরপর বিমান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি বিষয়টি তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয়। তারই অংশ হিসেবে তলব করা হয়েছিল জামাল উদ্দীনকে।
ফারুক খান বলেন, এ বিষয়ে সংসদীয় তদন্ত কমিটি গঠনের প্রস্তাব থাকলেও মন্ত্রণালয় একটি তদন্ত করছে বলে আপাতত তা আর করা হচ্ছে না।
মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদন পেয়ে তা নিয়ে আগামী বৈঠকে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় সুপারিশ করা হবে বলে জানান তিনি।
বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের নেতৃত্বে এক সদস্যের কমিটি শিগগির প্রতিবেদন দেবে বলে সংসদীয় কমিটিকে জানানো হয়েছে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বৈঠকে ছিলেন। কমিটির সদস্য মো. আলী আশরাফ, তানভীর ইমাম, মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী, কামরুল আশরাফ খান, মো. আফতাব উদ্দীন সরকার, রওশন আরা মান্নান ও সাবিহা নাহার বেগম বৈঠকে ছিলেন।