রোববার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সুপারিশ আসে।
কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, আবু জাহির, আ ফ ম বাহাউদ্দিন (নাছিম), মো. শিবলী সাদিক, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার এবং নাসিমা ফেরদৌসী বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) সার্বিক কর্মকাণ্ড নিয়েও আলোচনা হয়।
কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “সুন্দরবনে তেলবাহী ট্যাংকারডুবির ঘটনা নিয়ে কমিটি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে সে বিষয়ে বিপিসিকে সর্তক থাকতে বলা হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। এবিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে পরবর্তী সুপারিশ করা হবে।”
ক্ষতিপুরণ আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আগে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ হোক। তারপর দায়িদের চিহ্নিত করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া যাবে।”
সংসদ সচিবালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থায়ী কমিটি সুন্দরবন অঞ্চলে তেলবাহী জাহাজ দুর্ঘটনায় পরিবেশের যে ক্ষতি হয়েছে, তা নির্ধারণ করে সংশ্লিষ্ট তেল রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ দিয়েছে।
কমিটি বিপিসির কার্যক্রমে আরও গতিশীলতা এনে আয় বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে।
এছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমায় সর্বোচ্চ পরিমাণ তেল কিনে মজুত রাখার সুপারিশও করা হয়।
বৈঠকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব আবু বকর সিদ্দিকসহ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গত ৯ ডিসেম্বর সাড়ে তিন লাখ লিটারের বেশি জ্বালানি তেল নিয়ে সুন্দরবনের শেলা নদীতে ট্যাংকার ডুবে যায়। পরদিন বন বিভাগের চাঁদপাই স্টেশন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে মংলা থানায় ১০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে একটি মামলা করেন। এমটি টোটাল ও সাউদার্ন স্টার-৭ এর মালিককে এতে আসামি করা হয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি জানায়, এখনো ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাওয়া যায় নি। যত দ্রুত সম্ভব বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার মাধ্যমে পরিবেশগত ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণেরও সুপারিশ জানায় কমিটি।