রোববার বেলা পৌনে ১১টার দিকে কাথিরমাথা এলাকায় কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- এসএ টিভির জেলা প্রতিনিধি আহসান সুমন (৩২), ৭১ টিভির জেলা প্রতিনিধি কামরুল ইসলাম মিন্টু (৩৩)।
খবর পেয়ে কক্সবাজার সহকারী পুলিশ সুপার ছত্রধর ত্রিপুরা, কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার শ্যামল কান্তি নাথ ও জেলা প্রশাসক মো. রুহুল অমীন ঘটনাস্থলে যান ।
পরে ছত্রধর ত্রিপুরা জানান, আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার শ্যামল কান্তি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “খবর পেয়েই চলে এসেছি। দুই সাংবাদিক আমাদের মৌখিকভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন। খোঁজ খবর চলছে। তারা যদি মামলা করে তাহলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
আহতরা জানিয়েছেন, সকালে তারা একটি মাইক্রোবাসে করে দক্ষিণ মিঠাছড়ি উচ্চবিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে খবর সংগ্রহে যাচ্ছিলেন। পথে কাথিরমাথায় কয়েকজন তাদের গাড়ি আটকে দেয়। এ সময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই সুমনের ক্যামেরা ভাঙচুর ও তাদের মারধর করা হয়।
হামলাকারীরা নির্বাচন অফিস থেকে দেওয়া কার্ডও কেড়ে নেয় বলেও অভিযোগ করেন তারা।
মারধরের শিকার সাংবাদিক মিন্টু বলেন, “রামুর স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা ইউনূস ভুট্টু ও বহিরাগত সন্ত্রাসী কুদরত উল্লাহ ও তার সহযোগী দিদারুল আলম দিদারসহ ৭/৮ জন ওই হামলায় অংশ নেয়।”
রোববার সকাল থেকে রামু উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে চলছে উপ-নির্বাচনে ভোট গ্রহণ।
এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী রিয়াজ উল আলম (মোটরসাইকেল), বিএনপি সমর্থিত মেরাজ আহমেদ মাহিন চৌধুরী (আনারস) এবং জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী ফজলুল্লাহ মো. হাসান (ঘোড়া) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
গত ১১ অগাস্ট উপজেলা চেয়ারম্যান আহমেদুল হক চৌধুরী মারা গেলে পদটি শূন্য হয়।