শনিবার বিকালে চবি ক্যাম্পাসে ঘটনাস্থল পরির্দশন শেষে সঙ্গে থাকা পুলিশ কর্মকর্তাদের তিনি এ নির্দেশ দেন।
এর আগে সকালে চবি শহীদ মিনারে তাপস হত্যায় দোষীদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করে তার সহপাঠী ও শিক্ষকরা মানববন্ধন করেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন বিষয়ে রাতে যোগাযোগ করা হলে পুলিশ সুপার হাফিজ আক্তার বলেন, “তদন্তের স্বার্থে ক্যাম্পাসে পরিদর্শনে গিয়েছি। সংবাদ মাধ্যমসহ নানা জায়গায় ঘটনাস্থলের ছবি দেখেছি।
“এটা নিয়ে কিছু ডাউট ছিল। কোথাও বলা হচ্ছিল পিছন থেকে, কোথাও বলা হচ্ছিল শাহ জালাল থেকে গুলি করা হয়েছে। সে কারণে ঘটনাস্থল দেখার প্রয়োজন ছিল। এখন আমাদের একটা পরিষ্কার ধারণা হয়েছে।”
তবে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে পুলিশ কর্মকর্তা হাফিজ আক্তার বলেন, “সেটা আমাদের তদন্তের বিষয়। এখনই আপনাদের বলতে পারছি না।
আসামি গ্রেপ্তারে নির্দেশনা বিষয়ে পুলিশ সুপার বলেন, “আসামি গ্রেপ্তার করতে সংশ্লিষ্টদের কিছু নির্দেশনা দিয়েছি। সেগুলো অনুসরণ করলে আশা করি আসামি গ্রেপ্তার হবে।”
১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী দিবসে চবি ক্যাম্পাসের বুদ্ধিজীবী চত্বরে একসঙ্গে ফুল দিয়ে ফিরে সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক সংগঠন ভিএক্স ও সিএফসি গ্রুপ।
এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত সংস্কৃত বিভাগের শিক্ষার্থী তাপস সরকারকে শুরু থেকে নিজেদের কর্মী দাবি করছে সিএফসি।
ঘটনার সময় চবি’র শাহ আমানত হলের নিয়ন্ত্রণে থাকা সিএফসি গ্রুপের দাবি ভিএক্স’র নিয়ন্ত্রণে থাকা শাহ জালাল হল থেকে ছোঁড়া গুলিতেই নিহত হয় তাপস।
তবে ভিএক্স’র দাবি একশ মিটারের বেশি দূরত্বের শাহ জালাল হল থেকে ছোঁড়া গুলি তাপসের গায়ে লাগা সম্ভব নয়। বরং হত্যাকাণ্ডের জন্য সিএফসিকেই দায়ী করে ভিএক্স।
ঘটনার একদিন পর ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে হাটহাজারী থানায় একটি হত্যা মামলা করে তাপসের এক সহপাঠী। এছাড়া পুলিশ অস্ত্র আইনে একটি মামলা করে।
ঘটনার পর ছয় দিন পেরিয়ে গেলেও হত্যা মামলার আসামি আশরাফুজ্জামান আশা, শাহরীদ শুভ, এনামুল হোসেন, প্রদীপ চক্রবর্তীসহ অন্যদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
বিকালে ক্যাম্পাসে যাওয়া পুলিশ কর্মকর্তাদের অন্যতম জেলা পুলিশের এএসপি আ ফ ম নিজাম উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পুলিশ সুপার শাহ আমানত ও শাহ জালাল হল পরিদর্শন করেছেন।
“তিনি মামলার সুষ্ঠু তদন্ত এবং জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন- অপরাধ অপরাধই। কে কি করে তা বিবেচ্য নয়। আসামিরা যেন আইনের আওতায় আসে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।”
পুলিশ সুপারের সঙ্গে চট্টগ্রাম পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মো. শহীদুল্লাহ, হাটহাজারী থানার ওসি মো. ইসমাইল ও পরিদর্শক (তদন্ত) সালাউদ্দিন প্রমুখও চবি ক্যাম্পাসে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।