সোনারগাঁও থানার ওসি মো. কামরুল ইসলাম জানান, শুক্রবার রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পিরোজপুর সেতু এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক নারীসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
ওসি কামরুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হারুন নারায়ণগঞ্জের একটি গার্মেন্টসে লিফট অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সম্প্রতি চাকরি হারিয়ে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে লিফট মেরামতের কাজ করতেন।
“শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে ভায়রা পলাশের সঙ্গে কুমিল্লার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। তারা দুজন একটি প্রাইভেটকারে করে কুমিল্লা যাচ্ছিল। পথে মদনপুরে তাদের বহনকারী প্রাইভেটকারকে একটি পিকআপভ্যান পেছন থেকে ধাক্কা দিলে চালকের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়।
“পরে হারুনও পিকআপ ভ্যান চালককের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে। পরে পিরোজপুর সেতু এলাকায় পিকআপভ্যান চালক তার লোকজন নিয়ে ওই প্রাইভেটকার আটক করে হারুনকে পিটিয়ে সেতুর খাদে ফেলে দেয়।
রাতে সোনারগাঁও থানার টহল পুলিশ ঢাল থেকে হারুনের লাশ উদ্ধার করে। শনিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
খবর পেয়ে নিহতের স্ত্রী রেখা আক্তার, বোন জামাই পলাশসহ সোনারগাঁও থানায় আসলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে আটক করে পুলিশ।