শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিমিটেডের তিন যুগ পূর্তি উৎসব ও মুক্তিযোদ্ধা-সাংবাদিক সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমি প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাঁচ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে যে সহিংসতা হয়েছে তা বিশ্বে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
“আমাদের পিছিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমরা আট শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি।
পোশাক শিল্পে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের যুগের সাথে এগিয়ে যেতে হবে।”
“এখন কমপ্লায়েন্সসহ নানা বিষয় নিশ্চিত করতে হবে। এ খাতে বিশ্বের দেশে-দেশে প্রতিযোগিতা আছে। নেতিবাচক কিছু পেলে তারা চাইবে পিছে টেনে ধরতে,” বলেন তিনি।
উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে প্রতিমন্ত্রী জাবেদ বলেন, “কাজেই এমন কিছু লিখবেন না যাতে দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এখন বাংলাদেশ-ভারত-চীন-ইন্দোনেশিয়া-মালয়েশিয়া হল গ্রোথ জোন। এখন এশিয়ার স্বর্ণযুগ। পৃথিবীর খুব কম দেশেই আমাদের মত প্রবৃদ্ধি আছে।“
গ্যাস সংকট থেকে উত্তরণে নতুন গ্যাস ক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলনের বিকল্প নেই দাবি করে জাবেদ বলেন, “এ কথা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছিলাম। তিনি বললেন, ‘সুশীল সমাজের জন্য তো পারি না।’
“সুশীল সমাজ ‘জ্যাক অফ অল ট্রেড’ হলে হবে না। টক শোতে গিয়ে তো কথা বলতে হবে। তাই বুঝেও বলি, না বুঝেও বলি। আমরা সস্তা বাহবা নিতে চাই। এমন কিছু করা ঠিক হবে না, যাতে ভবিষ্যত প্রজন্ম ক্ষতিগ্রস্ত হয়।”
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে এবং পঁচাত্তরের ১৫ অগাস্টের হত্যকাণ্ডের পর আবার দেশবাসীর সামনে ‘সঠিক ইতিহাস’ সাংবাদিকদের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন ভূমি প্রতিমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে সাংবাদিক কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির নেতৃবৃন্দের দাবি অনুসারে শেরশাহ এলাকায় আবাসন প্রকল্পের অধীনে আরও এক একর ৮৪ শতক জমি বরাদ্দের প্রতিশ্রুতি দেন ভূমি প্রতিমন্ত্রী।
১৯৮৯ সালে নগরীর শেরশাহ এলাকায় সরকার সাংবাদিকদের আবাসনের জন্য ১৬ একর জমি দেয়। এরমধ্যে প্রায় ১৪ একর জমি পেলেও বাকি জমি এখনও পায়নি হাউজিং সোসাইটি।
এছাড়া সাংবাদিকদের আবাসন সংকট মেটাতে নামমাত্র মূল্যে একটি নতুন জমি দেয়ারও অঙ্গীকার করেন প্রতিমন্ত্রী জাবেদ। পাশাপাশি শেরশাহ প্রকল্পে পানি ও গ্যাস সংকট নিরসনে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
অনুষ্ঠানে সংবর্ধনা দেয়া হয় মুক্তিযোদ্ধা-সাংবাদিক দৈনিক আজাদীর সম্পাদক প্রয়াত অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ, দৈনিক স্বাধীনতার প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত আবদুল্লাহ আল হারুন চৌধুরী, প্রয়াত মো. ইদ্রিস, ইত্তেহাদের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত, দৈনিক পূর্বদেশের নির্বাহী সম্পাদক নাছির উদ্দিন চৌধুরী, নিজাম উদ্দিন চৌধুরী, ওসমানুল হক, পঙ্কজ দস্তিদার, দেব প্রসাদ দেবু, নওশের আলী খান ও মঞ্জুরুল আলম মঞ্জুকে।
এর আগে বেলুন উড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক।
হাউজিং সোসাইটির চেয়ারম্যান মইনুদ্দীন কাদেরী শওকতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম ও সোসাইটির সাবেক চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান। আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এজাজ ইউসুফী।