আটক নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে বগুড়া জেলা বিএনপি সকাল ৬টা থেকে দুপুর পর্যন্ত এই হরতাল ডাকে। এই সময় জেলা শহরে বন্ধ ছিল সব ধরনের যান চলাচল।
উত্তরাঞ্চলে রংপুর বিভাগের সব জেলায় যেত বগুড়া অতিক্রম করতে হয় বলে এই হরতালের কারণে ওই জেলাগুলোতে যাতায়াতকারী গাড়িগুলো আটকে যায়।
বগুড়া জেলায় ঢুকতে না পেরে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার চান্দাইকোনায় উত্তরাঞ্চলগামী শ’ শ’ যানবাহন আটকা পড়ে। তখন আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ মহাসড়কে টহল দেয়।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে পুলিশের সার্জেন্ট আব্দুল গনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ভোর থেকে উত্তরাঞ্চলগামী কয়েকটি জেলার শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। দুপুর ১টার দিকে এসব যানবাহন গন্তব্যের দিকে রওনা হতে শুরু করে।
এদিকে হরতালে বগুড়া শহরে রিকশা, অটোরিকশাসহ হালকা যানবাহন চলাচল থাকলেও ভারী কোনো যানবাহন চলেনি। বন্ধ ছিল বেশির ভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও।
সকালে শহরের খান্দার ও সদরের সাবগ্রাম এলাকায় হরতালের সমর্থনে মিছিল করে বিএনপি। এছাড়া হরতাল শেষে জেলা কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করে।
হরতালে শহরের সাতমাথাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন ছিল।