শুক্রবার সকালে বেড়াবাড়ি গ্রামে চারঘণ্টা স্থায়ী এ সংঘর্ষে অন্তত ২৮ জন গুলিবিদ্ধ হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
গুরুতর আহত তিনজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং বাকিদের বগুড়া, সিংড়া ও নাটোরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
একটি বন্দুক ও রামদাসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুন্সি সাহাবুদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এ ঘটনায় একপক্ষের প্রধান সাইফুল ইসলামসহ তিনজনকে অস্ত্রসহ আটক করা হয়েছে।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সকাল ৮টার দিকে সিংড়ার ডাহিয়া ইউনিয়নের বেড়াবাড়ি গ্রামে এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গোয়ালপাড়ার সাইফুল ইসলামের সমর্থকদের সঙ্গে মোল্লাপাড়ার আমজাদ হোসেনের সমর্থকদের সংঘর্ষ শুরু হয়।
প্রায় চারঘণ্টাব্যাপী এই সংঘর্ষে মহিলাসহ উভয়পক্ষের ৩১ জন গুলিবিদ্ধ হয়।
এর মধ্যে জাহানারা বেগম (৪৫), বাবু সরকার (৩৫) ও খুকুমনি (২৬) নামে গুলিবিদ্ধ তিনজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতদের মধ্যে আরও রয়েছেন বেড়াবাড়ি গ্রামের সেন্টু রহমান (২৪), আছমা খাতুন (৪০), রেজাউল (২৫), স্বপন (২৭), খোরশেদ আলম (৬০), শফিকুল ইসলাম (২৬), তফিজ উদ্দিন (৩৫), ফেরদৌস প্রামানিক (৩২), আব্দুল আলিম (২০), কাওসার আলী (২৮), জামাল হোসেন (২০), মজনু মোল্লা (২২), সোহরাব হোসেন সর্দার (২০), সবুজ সর্দার (২২), গোলজার মোল্লা (৫০), আকাশ তালুকদার (১৭), সোহাগ তালুকদার (২৫), আনিসুর রহমান (৩২), আফসার প্রামানিক (৫০), রানা আহম্মেদ (২৪), আব্দুর রহিম (২২), সাইদুর রহমান (২৫), সুজন (২২), আলম মোল্লা (৩৫), মুকুল প্রামানিক (২৫), রফিকুল ইসলাম (৪৩), জহুরুল ইসলাম (৩০) ও আতিকুর রহমান (২৪)।
সরেজমিন বেড়াবাড়ি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, দুর্গম যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে আহতদের অনেকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যেতে পারেননি। স্থানীয়ভাবে তারা চিকিৎসা নিচ্ছেন।
তবে, কয়েকজনকে নাটোর, সিংড়া ও বগুড়ার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।