পারাবত লঞ্চের বরিশাল অঞ্চলের সুপারভাইজার সেলিম মিয়া জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকার সদরঘাট থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে লঞ্চটি। ঘন কুয়াশার কারণে রাত ৩টার দিকে মিয়ারচর এলাকায় নদীতে নোঙর করেন লঞ্চের মাস্টার।
“সকালে কুয়াশা কেটে গেলে যাত্রা করতে গিয়ে দেখা যায় পানি কমে যাওয়ার লঞ্চ ডুবোচরে আটকে গেছে।”
জোয়ার আসার পর শুক্রবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে আবার গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা হয় লঞ্চটি, বরিশালে পৌঁছায় বিকাল ৪টার পর।
সেলিম লঞ্চে আটশর বেশি যাত্রী থাকার কথা বললেও একজন আরোহী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, যাত্রী ছিল দেড় হাজারের মতো।
মুস্তাফিজুর রহমান সুমন নামের ওই যাত্রী জানান, আরোহীদের মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ভর্তি পরীক্ষার্থীও ছিলেন। শুক্রবার যখন পরীক্ষা চলছে, তখন তাদের লঞ্চেই আটকে থাকতে হয়। ক্ষুব্ধ হয়ে তারা লঞ্চে ভাংচুরেরও চেষ্টা করেন।
বেলা সোয়া ১টার পর জোয়ার এলে লঞ্চটি মুক্ত হয় এবং বরিশালের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে বলে জানান সুমন।
অবশ্য তার আগেই কিছু যাত্রী নৌকায় করে লঞ্চ থেকে বরিশালের দিকে যাত্রা করেন বলে জানান তিনি।
বিআইডব্লিউটিসির নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ পরিচালক আবুল বাশার মজুমদার বলেন, বিকাল ৪টার পর লঞ্চটি বরিশালে পৌঁছায়।