জেলে থেকেই ‘খুন করায়’ শীর্ষসন্ত্রাসী ইমন

কাশিমপুর কারাগারে থেকেই শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন সঙ্গীদের নির্দেশনা দিয়ে এক ব্যবসায়ীকে হত্যা করেন বলে র‌্যাবের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Dec 2014, 05:11 PM
Updated : 18 Dec 2014, 06:21 PM

চামড়া ব্যবসায়ী আফজাল হোসেন সাত্তার হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে গ্রেপ্তার একজন এই তথ্য দেয় বলে র‌্যাব-২ এর অধিনায়ক এস এম মাসুদ রানা জানিয়েছেন।

গত ১৪ ডিসেম্বর দুপুরে ঝিগাতলার তিন মাজার মসজিদ এলাকায় আফজাল হোসেন সাত্তার নামের এক চামড়া ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে এলোপাতাড়ি গুলি করে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় নিহতের পরিবার হাজারীবাগ থানায় ৬ জনকে আসামি করে হত্যামামলা দায়ের করে। ওই হত্যার তদন্তে বৃহস্পতিবার ভোরে শেওড়াপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মাসুদ হাসান (৩৩) নামে একজনকে।

এই খুনের তদন্ত করতে গিয়ে র‌্যাব জানতে পারে, মাসুদের বড় ভাইকে ১৯৯৬ সালে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিল, যাতে সাত্তারের তিন ভাইয়ের জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

ভাই হত্যার প্রতিশোধ নিতেই সাত্তারকে হত্যা করতে ইমনের সহায়তা নিয়েছিলেন বলে মাসুদ র‌্যাবের কাছে স্বীকার করেন।

File Photo

র‌্যাব কর্মকর্তা মাসুদ রানা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ইমন কারাগারে বসেই গত চার মাস ধরে সাত্তার হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। কারাগারে বসেই ইমন গ্রেপ্তার মাসুদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখত।”

মাসুদ জানিয়েছে, ইমনের পরিকল্পনায় এর আগে কয়েকবার সাত্তারকে গুলি করার চেষ্টা চালানো হলেও তা ব্যর্থ হয়। সাত্তারকে গুলি করতে গনি নামের এক জনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বলে র‌্যাবকে জানিয়েছে মাসুদ।

“মাসুদ কারাগারে থাকা ইমনকে জানিয়েছিল, গনির নিজস্ব তিনটি অবৈধ অস্ত্র আছে। সম্পূর্ণ অপারেশনটি পরিচালনা ও হত্যা শেষে নিরাপদে ওই এলাকা ছাড়ার নির্দেশনাও ইমনের কাছ থেকে পেয়েছিল মাসুদ,” বলেন র‌্যাব কর্মকর্তা মাসুদ।

এই বিষয়ে কাশিমপুর কারাগারের জেলার মিজানুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কারাগারে থাকা কোনো আসামি মোবাইল ব্যবহার করতে পারে না।

তবে কারাগারের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “আসামি যখন আদালতে যায় বা তার সঙ্গে স্বজনরা দেখা করে, তখন কোনো অপরাধের নির্দেশনা দিয়ে থাকতে পারে।”