দীর্ঘদিন ফুসফুসের জটিলতায় আক্রান্ত অরুণাভ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডিতে নিজের বাসায় শেষ নিশ্বাঃস ত্যাগ করেন বলে তার স্বজন ও সহকর্মীরা জানিয়েছেন।
কবির বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।
অরুণাভের সহকর্মী জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সন্ধ্যা ৬টার দিকে ধানমন্ডিতে নিজের বাসায় তিনি মারা যান।
“চার বছর আগে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ার পর থেকে ফুসফুসের জটিলতায় ভুগছিলেন অরুণাভ।”
অরুণাভের ইচ্ছা অনুযায়ী মেডিকেল শিক্ষার্থীদের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজে দান করা হবে বলে তার ছেলে সুগত সরকার পাপ্পু জানিয়েছেন।
শুক্রবার কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।
১৯৬৭ সালে দৈনিক সংবাদে কাজের মধ্য দিয়ে তার সাংবাদিকতা জীবনের শুরু। এরপরে নিউ নেশন, নিউজ টুডেসহ বিভিন্ন পত্রিকায় কাজ করেছেন তিনি।
সাংবাদিকতার পাশাপাশি কবিতা লেখায় মগ্ন ছিলেন অরুণাভ। তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে নগরের বাউল, কেউ কিছুই জানে না, নারীরা ফেরে না, শিশুতোষ, খোকনের অভিযান, গল্প থেকে গল্প ইত্যাদি।
বাংলা একাডেমিসহ বিভিন্ন জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন এই কবি।
জাতীয় প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য ছিলেন অরুণাভ সরকার।
তার মৃত্যুতে প্রেসক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ শোক প্রকাশ করেছেন।