বৃহস্পতিবার সকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান।
এতে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ-সভাপতি ও টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা শামসুজ্জামান, সহ-সভাপতি ও কেন্দ্রীয় গোরস্থান জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মুফতী আশরাফুজ্জামান কাশেমী, সাধারণ সম্পাদক ও টাঙ্গাইল বাস স্ট্যান্ড জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা আব্দুল জলিল, ধুলেচর মাদ্রাসার প্রধান মুফতী আব্দুর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা হাই কোর্টের আদেশের প্রতি সম্মান জানিয়ে বলেন, কোনোভাবেই একটা সভ্য সমাজে বেহায়াপনা আর অসামাজিক কার্যকলাপ চলতে পারে না। তাই তারা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই যৌনপল্লি বন্ধের দাবি জানান।
পাশাপাশি তাদের আন্দোলন চলবে বলেও জানান।
আন্দোলনের কর্মসূচি হিসেবে শুক্রবার বাদ জুমা উচ্ছেদ হওয়া যৌনপল্লি পুনঃস্থাপনের প্রতিবাদ ও বন্ধের দাবিতে শহরে বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দেওয়া হয়।
টাঙ্গাইলে অসামাজিক কার্যকলাপ প্রতিরোধ কমিটির আন্দোলনের মুখে গত ১২ জুলাই প্রায় দেড়শ বছরের পুরোনো কান্দাপাড়া যৌনপল্লির সাড়ে ৮শ যৌনকর্মী একরাতেই তাদের আবাসন ছেড়ে চলে যান।
এরপর থেকে যৌনপল্লি এলাকা জনমানব শূন্য হয়ে পড়ে।
এরপর যৌনকর্মীদের পক্ষে এক আইনজীবীর করা রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে সম্প্রতি হাই কোর্ট এক আদেশে যৌনকর্মীদের সেখানে থাকতে কোনো বাধা নেই বলে জানানো হয়। এছাড়া তাদের নিরাপত্তা দিতে প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
ওই আদেশের পর ৯ ডিসেম্বর যৌনপল্লি থেকে উচ্ছেদ হওয়া যৌনকর্মীরা খোলা আকাশের নিচে একে একে জড়ো হতে থাকেন। এ পর্যন্ত প্রায় চার শতাধিক যৌনকর্মী উপস্থিত হয়ে তাদের ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন।