বুধবার রাতে সিটি করপোরেশনের শরীফপুর এলাকায় একটি পরিত্যক্ত বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে সাজেদুর রহমানের (১০) লাশ পাওয়া যায়।
সাজেদুর রহমান ওই এলাকার নাসির উদ্দিনের ছেলে এবং শরীফপুর দাখিল মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিল।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
আটকদের বরাত দিয়ে জয়দেবপুর থানার উপ-পরিদর্শক মো. আক্রাম হোসেন জানান, টঙ্গী এলাকার বসবাসকারী কিশোর মো. ফয়সাল ও তার এক সঙ্গী সাজেদুরকে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য তার প্রতিবেশী ও সহপাঠী জাকির হোসেন (১০), সাজিদ, পাপ্পু ও জুয়েলকে মোটরসাইকেল দেয়ার প্রলোভন দেখায়।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাকির তার কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে সাজেদুরকে বাড়ি থেকে ফুটবল খেলার কথা বলে নিয়ে যায় এবং ফয়সলের হাতে তুলে দেয়। এরপর থেকে জাকির নিখোঁজ থাকে।
পরে রাত ৮টার দিকে সাজেদুরের বাবার মোবাইলে ফোন করে ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এবং ওই টাকা না দিলে তার ছেলেকে মেরে ফেলারও হুমকি দেয় ফয়সল।
টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানানোর পর একটি রশি দিয়ে সাজেদুরের গলায় ফাঁস দিয়ে বাড়ির দক্ষিণে একটি পরিত্যক্ত বাসার অব্যবহৃত শৌচাগারের সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেয়।
রাতেই এলাকাবাসী প্রথমে জাকিরকে আটক করে।
পরে জাকিরের দেওয়া তথ্যমতে রাত সাড়ে ১২টার দিকে সাজেদুরের অচেতন দেহ উদ্ধার করে গাজীপুর সদর হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গাজীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মো. আব্দুস সালাম সরকার বলেন, তাকে মৃতাবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তার গলায় শ্বাসরোধ করে হত্যার প্রাথমিক আলামত পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সাকের (১৭), পাপ্পু (১৬), সাজিদ (১৭) ও জুয়েলকে (১৪) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে বলে জানান এসআই আক্রাম।