এই বিসিএসের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাডারে দুই হাজার ৫২টি পদে নিয়োগ দেওয়ার কথা রয়েছে।
সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আ ই ম নেছারউদ্দিন বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, কমিশনের ওয়েবসাইটে লিখিত পরীক্ষার ফল পাওয়া যাবে। মৌখিক পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ২৬ জানুয়ারি থেকে।
এছাড়া টেলিটক মোবাইল থেকে BCS লিখে স্পেস দিয়ে ৩৪ লিখে স্পেস দিয়ে রেজিস্ট্রেশন নম্বর লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠালে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
কোটা নিয়ে জটিলতার কারণে এ বিসিএসের প্রিলিমিনারির ফল দেওয়া হয় দুই দফায়।
গত বছরের ৮ জুলাই কোটার ভিত্তিতে প্রথম প্রকাশিত ফলাফলে ১২ হাজার ৩৩ জন উত্তীর্ণ হন।
এতে মেধাবী অনেকেই বাদ পড়েছেন অভিযোগ তুলে ১০ জুলাই থেকে আন্দোলন শুরু করেন চাকরিপ্রার্থীরা। কোটার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরাও তাতে যোগ দেন।
বিক্ষোভের মুখে ১৪ জুলাই ৩৪তম বিসিএস প্রিলিমিনারির পুনর্মূল্যায়িত ফল দেওয়া হয়, যাতে রেকর্ড সংখ্যক ৪৬ হাজার ২৫০ জন উত্তীর্ণ হন।
আগের উত্তীর্ণ সবাইকে রেখেই পুনর্মূল্যায়িত ফল দেওয়া হয়েছে বলে পিএসসি দাবি করলেও প্রথমবার উত্তীর্ণদের মধ্যে ২৮১ জন আদিবাসী বাদ পড়েন।
এ নিয়ে ‘বঞ্চিত’ আদিবাসীরা পিএসসি ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাছে লিখিত আবেদন করেন। বিভিন্ন কর্মসূচিও পালন করেন তারা।
এরপরেও তাদের উত্তীর্ণের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না হওয়ায় আগের ফলে উত্তীর্ণ ৫৯ জন আবেদনকারীর পক্ষে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া গত বছরের ২৮ জুলাই হাইকোর্টে রিট করেন।
ওই রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের হাই কোর্ট বেঞ্চ গতবছর ৩১ জুলাই এক আদেশে প্রথম ফলে উত্তীর্ণ ৫৯ রিটকারীসহ ২৮১ জনকে বাদ দিয়ে প্রকাশিত ফল কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চায়।
এছাড়া পুনর্মূল্যায়িত ফলে আদিবাসী কোটায় আবেদনকারীদের বাদ দেওয়ার কারণও জানতে চায় হাই কোর্ট।
পরে হাই কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী আদিবাসী কোটার প্রার্থীরাও লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পান।