দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে মুসা বিন শমসের

অবৈধ সম্পদের খোঁজে আলোচিত ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Dec 2014, 04:42 AM
Updated : 18 Dec 2014, 08:47 AM

কমিশনের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে মুসার জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়।

কমিশনের জ্যেষ্ঠ উপ-পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলী তাকে জেরা করছেন।

দুদকের তলবে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেগুনবাগিচায় কমিশন কার্যালয়ে উপস্থিত হন মুসা বিন শমসের।

তাকে হাজির হতে বলে গত ৪ ডিসেম্বর গুলশানের বাসা ও বনানীর ব্যবসায়িক কার্যালয়ে চিঠি পাঠায় দুদক।

দুদকের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মুসার অবৈধ সম্পদ রয়েছে কিনা তা অনুসন্ধানের জন্যই এই জিজ্ঞাসাবাদ।

বাণিজ্য সাময়িকী বিজনেস এশিয়ার সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদনকে ভিত্তি করে গত ৩ নভেম্বর কমিশনের নিয়মিত বৈঠকে মুসা বিন শমসেরের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয়। সুইস ব্যাংকে এই ব্যবসায়ীর সাত বিলিয়ন ডলার রয়েছে বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

কমিশনের জ্যেষ্ঠ উপ-পরিচালক শিবলীকে বিষয়টি অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেয় দুদক।

বিদেশি সংবাদ মাধ্যমে ‘বাংলাদেশের প্রিন্স’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া মুসা বিন শমসের আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের বেয়াই।

মুসার বড় ছেলে ববি হাজ্জাজ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বিশেষ উপদেষ্টার দায়িত্বে রয়েছেন।

১৯৫০ সালের ১৫ অক্টোবর বাংলাদেশের ফরিদপুরে জন্ম নেয়া মুসা ড্যাটকো গ্রুপের মাধ্যমে জনশক্তি রপ্তানির ব্যবসা শুরু করেন। তবে তার পরিচিতি তুলে ধরতে গিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো অস্ত্র ব্যবসার কথাই আগে আনে।

১৯৯৭ সালে যুক্তরাজ্যে নির্বাচনে লেবার পার্টির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী টনি ব্লেয়ারের নির্বাচনী প্রচারের জন্য ৫ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে আলোচনায় আসেন বাংলাদেশের এই ব্যবসায়ী।

এর আগে একটি দৈনিকে সুইস ব্যাংকে মুসা বিন শমসেরের ৫১ হাজার কোটি টাকা থাকার খবর ছাপা হওয়ার পর ২০১১ সালের এপ্রিলে একবার তার সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দুর্নীতি দমন কমিশন। কিন্তু পরে সেই প্রক্রিয়া আর এগোয়নি।