যুক্তরাজ্যে বসবাসরত তিন লাখের বেশি ব্রিটিশ বাংলাদেশির জন্য এটা চরম অবমাননাকর বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
গত সোমবার যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টারি সিলেক্ট কমিটির সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টেরিজা মের কাছে এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানান ভাজ।
গত ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকায় ব্রিটিশ হাই কমিশনে সব ধরনের ভিসা প্রসেসিং বন্ধ করে দেয় ব্রিটিশ সরকার। ১ অক্টোবর থেকে জমা পড়া ভিসা সংক্রান্ত আবেদনের ক্ষেত্রে কোনো সিদ্ধান্ত দিচ্ছে না ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশন।
বিষয়টি নিয়ে কিথ ভাজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ঢাকা থেকে ভিসার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা সরিয়ে নেওয়া যুক্তরাজ্য সরকারের অদূরদর্শী সিদ্ধান্ত।
“হাজার হাজার মানুষ, যারা যুক্তরাজ্যের ভিসার জন্য আবেদন করেন, তাদের ভিসা প্রদানের সিদ্ধান্ত হবে নয়া দিল্লিতে। সত্যিকার অর্থে এটি একটি অবমাননাকর, অদূরদর্শী সিদ্ধান্ত। এটা ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের জন্য অসুবিধার সৃষ্টি করবে।”
এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “অনেকে মনে করতে পারেন, ব্রিটিশ সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সঙ্গে ঐতিহাসিক সম্পর্ক নিম্ন পর্যায়ে নিয়ে গেছে। বাংলাদেশের মতো সম্ভাবনাময় দেশগুলোর সঙ্গে আমরা সম্পর্ক জোরদার করব, তখন সরকার পিছনে ফেরাচ্ছে।”
খরচ কমানোর অজুহাত দেখিয়ে এমন সিদ্ধান্ত বোকামি মন্তব্য করে লেবার পার্টির এই নেতা বলেন, এর ফলাফল হবে লাখ লাখ মানুষের ভোগান্তি।
ব্যাপারটি নিয়ে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পার্লামেন্টে একটি ‘আর্লি ডে মোশন’ এনে তার পক্ষে নিজ নিজ এলাকার এমপিদের সমর্থন টানতে ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান কিথ ভাজ।
এরই মধ্যে আটজন ব্রিটিশ এমপি ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের ওই প্রস্তাবে সমর্থন জানিয়েছেন।
এদিকে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সাময়িকী ‘কারি লাইফ’ এবং ‘এশিয়ান ভয়েস’ নামের একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের জন্য ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান শুরু করেছে।
ব্রিটিশ সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বাংলাদেশের সিলেটে সভা ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি দাবি জানিয়েছেন কয়েকজন ব্রিটিশ বাংলাদেশি।