বছরে সাত লাখ কর্মীর বিদেশে কর্মসংস্থানের আশা

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা কিছুটা কেটে ওঠায় এখন বছরে ছয় থেকে সাত লাখ কর্মীর বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বলে মনে করছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Dec 2014, 11:05 AM
Updated : 17 Dec 2014, 11:05 AM

প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

এজন্য প্রতিবছর প্রায় সাড়ে চার থেকে সাড়ে পাঁচ লাখ কর্মীর প্রশিক্ষণ দরকার বলে মনে করছেন তিনি।

প্রশিক্ষিত কর্মী তৈরির জন্য বিভিন্ন উপজেলায় চার শতাধিক কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ বর্তমানে শেষ পর্যায়ে আছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।

আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে বুধবার দুপুরে রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব বলেন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী মোশাররফ।

‘নিরাপদ অভিবাসন, দিন বদলের লক্ষ্য অর্জন’ শ্লোগান নিয়ে এবার আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালন করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে বুধবার থেকে তিন দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতি ও শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্র্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, অভিবাসীদের বক্তব্য, প্রবাসী কর্মীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স, প্রবাসীদের বৃত্তির চেক প্রদানসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান থাকবে।

অভিবাসন কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনতে বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন ২০১৩ অনুযায়ী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিবাসন সংক্রান্ত অপরাধ তাৎক্ষণিকভাবে আমলে নিচ্ছেন বলে জানান মন্ত্রী।

“এ আইনে এখন পর্যন্ত ১৫৮টি মামলা হয়েছে, যার ১১৬টির নিষ্পত্তি হয়েছে। ছয়টি রিক্রুটিং এজেন্সিকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধেও ছয়টি মামলা হয়েছে,” বলেন তিনি।

স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৯০ লাখ মানুষ কাজের জন্য দেশের বাইরে গেছেন বলে জানান মন্ত্রী। গত পাঁচ বছর গড়ে প্রতিবছর পাঁচ লাখ কর্মী বিশ্বের ১৬০টি দেশে গেছে বলেও জানান তিনি।

বর্তমান সরকার আমলে বিদেশে নারী কর্মীদের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র সম্প্রসারণ হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “বিগত চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে ৪৬ হাজার ৪৪৩ জন নারী কর্মী বিদেশে গিয়েছিল। অথচ ২০০৯ থেকে ২০১৩ সালে মহাজোট সরকার আমলে এক লাখ ৭৪ হাজার ২১৩ জন নারী বিদেশে কাজ করতে গেছে।”

বিদেশে বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থান বাড়ায় রেমিটেন্স প্রবাহেও তার প্রভাব পড়েছে জানিয়ে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, “জোট সরকারের সময়ে রেমিটেন্স প্রবাহ ছিল ১৮ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার। আর বর্তমানে রেমিটেন্স প্রবাহ ৬১ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।”