সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান জানান, বুধবার দুপুরে উপজেলার গোয়ালা বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন।
সংঘর্ষ চলাকালে মোস্তাফিজুর রহমান অসুস্থ হয়ে পড়েন। সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর বিকাল ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
কর্তব্যরত চিকিৎসকের বরাত দিয়ে নাজমুল হাসান বলেন, “ওসি মোস্তাফিজ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।”
তিনি জানান, স্থানীয় অটোরিকশা শ্রমিকদের একাংশের নেতারা গত কয়েক মাস ধরে ওসমানীনগর থানাধীন গোয়ালাবাজারে নতুন স্ট্যান্ড বসানোর দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
চার মাস আগে অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন এর জেলা শাখার নেতারা দক্ষিণ গোয়ালাবাজার শ্রমিক ইউনিয়ন নামে নতুন শাখা করে স্ট্যান্ড স্থাপনের উদ্যোগ নিলে গোয়ালাবাজার শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা তাতে বাধা দেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে জেলার নেতারা নতুন শাখা খোলা স্থগিত রাখেন।
নতুন স্ট্যান্ডের দাবিতে বুধবার সকাল ১০টার দিকে দক্ষিণ গোয়ালাবাজারের শ্রমিকরা সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে। এ নিয়ে গোয়ালাবাজার শাখার শ্রমিকদের সঙ্গে তাদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে ওসমানীনগর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ দুইপক্ষকে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দক্ষিণ গোয়ালাবাজারের শ্রমিকরা আবারও মহাসড়ক অবরোধ করলে ওসি মোস্তাফিজুর রহমান পুলিশ নিয়ে সেখানে যান। তখন পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।
এক পর্যায়ে ওসি মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনাস্থলেই অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।