হাই কোর্ট এলাকায় ছিনতাই করতে গিয়ে কনস্টেবল ধরা

রাজধানীতে হাই কোর্ট এলাকায় লাখ টাকা ছিনতাই করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন পুলিশের এক কনস্টেবল।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Dec 2014, 10:49 AM
Updated : 15 Dec 2014, 04:12 PM

ঢাকায় গ্রেপ্তার হওয়া এই কনস্টেবল পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি পদমর্যাদার এক কর্মকর্তার গাড়িচালক। তার নাম নূরে আলম।

তিনি সোমবার দুপুরে কয়েকজন সঙ্গীকে নিয়ে হাই কোর্টের সামনে সড়কে একটি সাইকেল থামিয়ে এক ব্যক্তির কাছ থেকে এক লাখ টাকা ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালান বলে শাহবাগ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নূরে আলমের সঙ্গে ছিলেন মতিঝিল থানা থেকে সদ্য পিবিআই (পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো) এ যোগ দেওয়া সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) খলিলুর রহমান এবং মিজানুর রহমান নামে এক সোর্স।

ছিনতাইয়ের শিকার পুরানো টাকার ব্যবসায়ী মো. লিটন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, একটি ব্যাংক থেকে পুরাতন টাকা বদল করে দুটি ব্যাগে এক লাখ টাকা নিয়ে তিনি এবং তার ভাগনে বাই সাইকেলে করে বংশাল যাচ্ছিলেন।

আব্দুল গণি রোড দিয়ে হাই কোর্টের সামনে আসলে তিনজন আরোহীর একটি মোটর সাইকেল তাদের ধাক্কা দিলে মামা-ভাগ্নে পড়ে যান।

“এসময় একজন আমার হাতে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে বলে ‘মামলা আছে’। এরপর আমাকে মোটর সাইকেলের মাঝে বসায়। আমার হাতে ৭৬ হাজার পাঁচশত টাকার ব্যাগ ছিল। বাকি ২৩ হাজার পাঁচশত টাকার আরেকটি ব্যাগ ছিল সানির কাছে।”

সানি জানান, ওই মোটর সাইকেলে থাকা তিনজনের একজন তার কাছে থাকা ব্যাগটি নিয়ে হেঁটে চলে যায়। এসময় তিনি সাইকেল থেকে পড়ে যাওয়ার ব্যথায় কাতরাচ্ছিলেন।

লিটন জানান, তাকে মোটর সাইকেলে করে নিয়ে যাওয়ার সময় ছিনতাইকারী বলে সন্দেহ হওয়ায় তিনি চিৎকার দেন। তার চিৎকারে একজন বয়স্ক লোক মোটর সাইকেলে সামনে গিয়ে তা আটকে ফেলে। ততক্ষণে আশেপাশের লোকজনও ছুটে আসে।

তখন মিজান নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিলে সবাইকে পাশে ট্রাফিক শেডে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তারা বিভিন্ন প্রশ্নের সদুত্তর দিতে না পারায় শাহবাগ থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা।

পুলিশ গিয়ে তখন নূরে আলম ও মিজানকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়। সেখানে দুজনের কাছে ৭৬ হাজার টাকা পাওয়া যায়।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা এএসআই খলিলের কথা জানান। সানির কাছ থেকে টাকার অন্য ব্যাগটি খলিলই নিয়ে গিয়েছিল।

শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাবিল হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, এই ঘটনায় লিটন বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। খলিলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।