‘লাগামহীন সমালোচনায় সুশাসন আসবে না’

‘লাগামহীন’ সমালোচনা না করে সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ও সুশাসন নিশ্চিতের পরামর্শ এসেছে ঢাকায় অনুষ্ঠিত একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আলোচকদের কাছ থেকে।

নিজস্ব প্রতিবেদক বিডিনউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Dec 2014, 01:52 PM
Updated : 11 Dec 2014, 01:52 PM

বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ওই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মশিউর রহমান বলেন, “সরকারের ভালো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সুশাসন ‘ক্লিয়ারিং হাউজ’ হিসেবে কাজ করে।

“সেখানে পরষ্পর অবিশ্বাস থাকলে সরকার ভালোভাবে কাজ করতে পারে না।”

‘রাজনৈতিক অর্থনীতি, জাবাদিহিতা ও সুশাসন’ বিষয়ক ওই সম্মেলনে সরকারে সুশাসন নিশ্চিত করতে হলে অর্থনীতিবিদদের পরামর্শ নিতে হবে বলে উল্লেখ করেন মশিউর।

তিনি বলেন, “কেয়ারলেস ক্রিটিসিজম শুধু উত্তেজনা ছড়ায়, আর কিছু করে না। স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সুশাসন নিশ্চিতে সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।”

কানাডা হাই কমিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ব্রায়ান আলেমেকিন্ডার্স বলেন, “মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে সুশাসন নিশ্চিত ও দুর্নীতি নির্মূলই হবে বড় চ্যালেঞ্জ। সত্যিকার গণতন্ত্র ছাড়া সুশাসন সম্ভব নয়। আর সুশাসন ছাড়া উন্নয়নও সম্ভব নয়।”

৫ জানুয়ারি নির্বাচনে একটি বড় অংশের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে আসা ও নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার কথাও তুলে ধরেন তিনি।

আলোচনায় অংশ নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, “সরকারের অনেক অর্জন থাকলেও নাগরিক ও মানবাধিকার নিশ্চিতে বাংলাদেশের ‘পারফর্মেন্স এখনো পুওর’।

“তবে সুশাসনের অভাব থাকলেও আর্থসামাজিক সুচকে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ।”

দলীয় রাজনীতি, সুশাসনের অভাব ও অনিয়মের কারণে ‘সোশ্যাল সেফটি’ খাতের সরকারের বরাদ্দের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ তৃণমূলে পৌঁছে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আশির দশকে নেওয়া সরকারের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কথা তুলে ধরে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, দুই দশক ধরে নেওয়া পদক্ষেপের পুরস্কার পাওয়া শুরু হয়েছে। এ অর্জন ধরে রেখে বিরাজমান সমস্যা সমাধানে এগিয়ে যেতে হবে।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিআইজিডি, ইএসআইডি, আইজিসি ও থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ইনেসিয়েটিভ-এর যৌথ আয়োজনে তিনদিনব্যাপী এই সম্মেলন শেষ হবে শনিবার ।