সমস্যার ‘উদ্ভাবনী’ সমাধান খুঁজতে ন্যাশনাল হ্যাকাথন

প্রশ্নপত্র ফাঁস, যৌন হয়রানি, যানজট, সড়ক নিরপত্তা, দুর্নীতি, প্রজনন স্বাস্থ্য, স্যানিটেশন, সাইক্লোন সেন্টার ব্যবস্থাপনা, নিরাপদ পানি সরবরাহ, নিরাপদ সড়ক এই ১০টি ক্ষেত্রের সমস্যার মোবাইল প্রযুক্তির মাধ্যমে উদ্ভাবনী সমাধান খুঁজে বের করার লক্ষ্য নিয়ে শুরু হয়েছে ‘ন্যাশনাল হ্যাকাথন’।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোন্টিফোর ডটকমবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Dec 2014, 06:25 AM
Updated : 6 Dec 2014, 06:44 AM

রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে শনিবার সকালে ৩৬ ঘণ্টার এই কর্মসূচি উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

সরকারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ‘জাতীয় পর্যায়ে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন উন্নয়নে সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি কর্মসূচি’র আওতায় এই আয়োজন।

এই আয়োজনে অংশগ্রহণকারী সেরা বিজয়ী দল বিভিন্ন পুরস্কারের পাশাপশি সরকারে পক্ষ থেকে ২০ লাখ টাকার ‘ইনোভেশন ফান্ড’ পাবেন। এছাড়া সেরা ১০টি দলকে সরকারের পক্ষ থেকে দুই লাখ টাকা করে দেওয়া হবে।

প্রতিযোগিতায় ১ হাজার ৬৭৫ জন প্রোগ্রামার, ফ্রিল্যান্সার, শিক্ষার্থী, অ্যাপনির্মাতা ২৮৮টি দলে ভাগ হয়ে অংশ নিচ্ছেন। ৫৯টি পেশাদার কোম্পানিও অংশ নিচ্ছে। পাঁচ সদস্যের কোডার ও ডিজাইনারের সমন্বয়ে এক-একটি দল গঠন করা হয়েছে।

বিশ্বজুড়ে হ্যাকাথন ‘ম্যারাথন কোডিং ইভেন্ট’ হিসেবে স্বীকৃত। হ্যাকাথনে ডেভেলপারদের দক্ষতার চূড়ান্ত প্রদর্শনী হয়।

অনুষ্ঠানে জুনাইদ বলেন, “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমরা শুধু দেখি সমস্যা। একে অন্যকে দোষ দিচ্ছে। ট্রাফিক জ্যাম, প্রশ্নপত্র ফাঁস, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে সবাই কথা বলছি। কিন্তু এর সমাধান কী? আমরা কি শুধু সমস্যা খুঁজে বের করবো, নাকি সমাধানও দেব?

“নাগরিক বিভিন্ন সমস্যার সমাধান এই হ্যাকাথনের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম খুঁজে বের করবে। তরুণ প্রযুক্তিবিদরা সমস্যার সমধান খুঁজে বের করবে।”

বিশ্বের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে বড় হ্যাকাথন দাবি করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সাল নাগাদ প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সরকার সবসময় তরুণ প্রযুক্তিবিদদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে চায়।

প্রতিমন্ত্রী এই সময় ‘ভিশন-২০২১’ শীর্ষক একটি কর্মশালা পরিচালনা করেন। কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা নির্দিষ্ট ফরমে ‘২০২১ সাল নাগাদ কেমন বাংলাদেশ দেখতে চান’ সে বিষয়ে মতামত দেন।

এই হ্যাকাথনে অংশগ্রহণকারীরা বিরতিহীনভাবে ৩৬ ঘণ্টা ধরে কোডিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন সলিউশনের প্রোটোটাইপ (নমুনা সমাধান) করবেন। ৩০ জন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ প্রতিযোগিতার মূল্যায়নের দায়িত্বে থাকবেন।

রোববার বিকালে সমাপনী পর্বে চূড়ান্ত পর্বের সমাধান প্রদর্শনী ও বিজয়ীদের নির্বাচন করা হবে। বিজয়ীদের প্রকল্পগুলো পূর্ণাঙ্গ রূপ দেওয়ার জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ সহযোগিতা করবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ‘জাতীয় পর্যায়ে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন উন্নয়নে সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি কর্মসূচি’র প্রকল্প পরিচালক মীনা মাসুদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব শ্যামা প্রসাদ ব্যাপারী, বেসরকারি মোবাইল অপরেটর রবি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুপন বীরাসিংহে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এই আয়োজনের সহ আয়োজক।