জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া, তারেক রহমানের ছবি খচিত বেলুনের পাশাপাশি যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামী ও দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছবি সম্বলিত বেলুনও উড়ছে সমাবেশস্থলে।
শনিবার বিকালে টাউন হল মাঠে জনসভায় বক্তৃতা দেবেন খালেদা জিয়া। নির্দলীয় সরকারের দাবিতে ২০ দলীয় জোটের উদ্যোগে এই জনসভা হচ্ছে।
জনসভাস্থলের বিভিন্ন স্থান থেকে লাল, হলুদ, সাদা, খয়েরি, নীলসহ নানা রঙের বেলুনে উড়ছে। এসব বেলুনের কোনোটিতে খালেদাকে স্বাগত জানানো হয়েছে, কোনোটিতে কোনো কোনো নেতার মুক্তি দাবি করা হয়েছে।
বিএনপির পক্ষ থেকে ওড়ানো বেলুনের মধ্যে কুমিল্লার মেয়র মনিরুল হক সাক্কু, দক্ষিণ জেলার সভাপতি আমিনুর রশীদ ইয়াছিন, সাবেক এমপি শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের ছবি রয়েছে।
২১ অগাস্টের গ্রেনেড হামলার মামলার আসামি কুমিল্লার সাবেক সংসদ সদস্য কায়কোবাদ পলাতক রয়েছেন। বেলুনে তার বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে।
২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামীর ওড়ানো বেলুনে দলের আমির নিজামী এবং নায়েবে আমির সাঈদীর মুক্তি দাবি করা হয়েছে।
নিজামীকে যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সাঈদীকে ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদণ্ড দিলেও আপিলের রায়ে তার যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে।
জনসভায় পুরো মাঠের পূর্বপাশে জামায়াত ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা স্থান নিয়েছে। ওই পাশটি করতালি ও স্লোগানে স্লোগানে সরব করে রেখেছেন তারা।
নীলফামারী, নাটোর, কিশোরগঞ্জে খালেদা জিয়ার সাম্প্রতিক জনসভায় জামায়াতের সরব উপস্থিতি দেখা গেলেও কুমিল্লায় এর ব্যতিক্রম দেখা গেল।
জামায়াতের এক নেতা বলেন, “জামায়াতে ইসলামীর অন্যতম কর্ণধার অধ্যাপক গোলাম আযমের বাড়ি বৃহত্তর কুমিল্লায়। সুতরাং কুমিল্লায় জামায়াতের উপস্থিতি তো বেশি হবেই।”
যুদ্ধাপরাধের সাজা ভোগের মধ্যে সম্প্রতি কারা হেফাজতে মারা যান একাত্তরে জামায়াতের আমির গোলাম আযম।
মাঠের পাশে নিজামী, সাঈদী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, আবদুস সুবহান, মো. কামারুজ্জামান, মীর কাসেম আলীর মুক্তির দাবিতে তাদের ছবিসহ ডিজিটাল ব্যানারও রয়েছে।
এদের পাশাপাশি জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা ও কুমিল্লার সাবেক সাংসদ সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য আবদুল হালিমের ছবিসহ ব্যানার ও তোরণ দেখা গেছে শহরের একাধিক স্থানে।