গণতন্ত্র জোরদারে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতার আশা খালেদার

বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ায় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শক্তিশালী করতে যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Nov 2014, 04:16 PM
Updated : 28 Nov 2014, 08:15 PM

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্র মন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়ালের সঙ্গে বৈঠকে এই প্রত্যাশার কথা জানান তিনি।

এক বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো ঢাকা সফরে আসা বিসওয়াল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার পর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসায় প্রবেশ করেন। এক ঘণ্টার বেশি সময় বৈঠক করে সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় বেরিয়ে আসেন তিনি।

বৈঠকে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ছাড়াও মানবাধিকারসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় বলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী জানান।

বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, নিশা দেশাই বিসওয়াল দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। 

“নেপালে সার্ক শীর্ষ সম্মেলন থেকে তিনি ঢাকায় এসেছেন। তিনি সেখানে যা বলেছেন, এখানে তা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে সামাজিক-অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে এগিয়ে নিতে হলে এই অঞ্চলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে আরো সুদৃঢ় করতে হবে, যাতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা পাশাপাশি চলতে পারে’।”

“বিএনপি চেয়ারপারসন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া জোরদারে তাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে,” বলেন শমসের মবিন।

নির্বাচনের আগে গত বছরের ১৬ নভেম্বর নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হরতাল, অবরোধ ও রাজনৈতিক সহিংসতার মধ্যে প্রথমবারের মতো ঢাকায় এসে সমস্যা সমাধানে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপের চেষ্টা করেছিলেন বিসওয়াল।

বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের বর্জনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয় এবং টানা দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসে।

৫ জানুয়ারির নির্বাচনে জয়ী হয়ে গঠিত সরকারকে ‘অবৈধ’ আখ্যা দিয়ে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন দাবি করে আসছে বিএনপি।

নির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্রসহ তাদের পশ্চিমা মিত্রদের পক্ষ থেকেও ‘অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক’ নির্বাচনের কথা বলা হচ্ছিল।

বৈঠকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে শমসের মবিন ছাড়াও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান, সাবিহ উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনাসহ কয়েকজন কূটনীতিকও বৈঠকে ছিলেন।

সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, “ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠক দ্বি পক্ষীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গড়া ওঠা সর্ম্পক আগামীতে কীভাবে এগিয়ে নেওয়া যায়, সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।”

দক্ষিণ এশীয় সহযোগিতা ফোরাম সার্ক-এ পর্যবেক্ষক হিসেবে ভূমিকা রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে সাধুবাদ জানান খালেদা জিয়া।