কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল সেন্টার নেই

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল সেন্টার তৈরি করা হয়নি।

আরিফুর রহমান, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Nov 2014, 04:10 PM
Updated : 28 Nov 2014, 04:10 PM

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নীচ তলায় একটি রুমে দায়সারাভাবে দেওয়া হচ্ছে চার হাজার শিক্ষার্থীসহ তিন শতাধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর চিকিৎসা সেবা।

তিন জন ডাক্তার, এক জন মেডিকেল অ্যাসিসট্যান্ট, এক জন নার্স এবং এক জন অফিস সহকারী দিয়ে কেন্দ্রটি চলছে। তারা সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চিকিৎসা সেবা দিয়ে যান।

শুক্র ও শনিবারসহ অন্যান্য ছুটির দিন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকলে মেডিকেল সেন্টারও বন্ধ থাকে।

এখানে কোনো আবাসিক ডাক্তার নেই। একটি অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও তা মেডিকেল সেন্টারের আওতাধীন নয়। রয়েছে ওষুধের অপর্যাপ্ততাও।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠন, শিক্ষক সমিতিসহ সবার পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় বারবার দাবি জানানো হলেও প্রশাসন স্বতন্ত্র মেডিকেল সেন্টার প্রতিষ্ঠার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।  

বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ম বর্ষপূর্তি স্মারকে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান ৫০ শয্যাবিশিষ্ট মেডিকেল সেন্টার নির্মাণের দাবি জানান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলী আশরাফ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এই মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল সেন্টার প্রতিষ্ঠার কোনো পরিকল্পনা নেই, যে মেডিকেল সেন্টার আছে সেটা আরো বৃদ্ধি করার কথা ভাবছি আমরা।”

আবাসিক ডাক্তারের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, “বর্তমানে মেডিকেল সেন্টারে ডাক্তারের কোনো শূন্য পদ নেই। এখন থেকে ৩ জন ডাক্তার পালাক্রমে ২৪ ঘণ্টা ডিউটি করবেন।”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চিকিৎসা সেবা নিতে আসা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানান, একটি ছোট রুমে এতগুলো মানুষ গাদাগাদি করে বসে।

অনেক সময় রোগ সংক্রান্ত গোপনীয় কথা ডাক্তারের সঙ্গে খোলামেলাভাবে বলা যায় না। ডাক্তারদের জন্য আলাদা রুম থাকা দরকার।

সিনিয়র অফিসার ডা. মাহমুদুল হাসান বলেন, পর্যায়ক্রমে ডিউটি করার জন্য ডাক্তারদের পরিবহন ও আবাসিক সুবিধাসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা দরকার।

তিনি আরো জানান, স্বতন্ত্র মেডিকেল সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হলে সকল ছোটখাট সমস্যাও দূর হয়ে যাবে।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সটি মেডিকেল সেন্টারের অধীনে দেওয়া উচিত এবং বার্ষিক বরাদ্দ ৭৫ হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি ৫ লাখ টাকায় উন্নীত করা দরকার।

এ বিষয়ে উপাচার্য জানান, বর্তমানে মেডিকেল সেন্টারে ওষুধের অপর্যাপ্ততা রয়েছে, যা কয়েকদিনের মধ্যে বৃদ্ধি করা হবে।

এছাড়া ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনা করে বার্ষিক ৭৫ হাজার টাকার বরাদ্দকে বাড়িয়ে যুগোপযোগী করা হবে বলে জানান তিনি।