পুলিশ জানায়, উপজেলার দেবত্তর রামনাথপুর গ্রামে গত শনিবার (২২ নভেম্বর) এ ঘটনা ঘটে। প্রথমে বিষয়টি গোপনের চেষ্টা করায় বিষয়টি পুলিশ জানেনি।
পরে রেশমার স্বজনদের কাছে খবর পেয়ে পুলিশ বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) রেশমা বেগমকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়।
গ্রেপ্তাররা হলেন রেশমার স্বামী আব্দুর রশিদ (৩৫) ও শাশুড়ি রহিমা বেগম (৫০)।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি এবিএম জাহিদুল ইসলাম জানান, আব্দুর রশিদ বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের এক লাখ টাকার জন্য স্ত্রী রেশমা বেগমকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল।
ঘটনার দিন গত শনিবার সকালে রেশমা রান্নাঘরে ডাল রান্না করছিলেন রেশমা। এ সময় আব্দুর রশিদ ওই ঘরে ঢুকে রেশমার সঙ্গে যৌতুকের টাকা নিয়ে ঝগড়া শুরু করেন।
এক পর্যায়ে রশিদ চুলায় উপর থাকা টগবগে ফুটন্ত ডালের পাতিল তুলে রেশমার মাথার উপর ঢেলে দেয়। এতে রেশমার মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে যায়।
ওসি জাহিদুল জানান, এ অবস্থায় বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চিকিৎসার জন্য রেশমাকে হাসপাতালে ভর্তি না করে একটি ঘরে আটকে রাখে তারা।
তিনি আরো জানান, রেশমার চাচা শাহজাহান মিয়া গত মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) রেশমার শ্বশুরবারি বেড়াতে আসেন। ওই সময় শ্বশুর আব্দুর রেজ্জাক ও শাশুড়ি রহিমা বেগম জানান যে, রেশমা তাদের এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গেছেন।
ওই সময় রেশমা আটক থাকা ঘর থেকে চাচার গলা শুনে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার দেন। তিনি রেশমার কাছে গিয়ে ঘটনা শুনে তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিতে চাইলে আব্দুর রেজ্জাক বাধা দেন। তখন তিনি বাড়ি ফিরে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানান।
ওসি বলেন, পরদিন রেশমার পরিবারের লোকজন তাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে ব্যর্থ হন এবং ঘটনাটি থানায় জানান।
এ ঘটনায় রেশমার বাবা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন বলেও জানান ওসি জাহিদুল।
এ ব্যাপারে রেশমার স্বামী আব্দুর রশিদ সাংবাদিকদের জানান, রান্না করার সময় পাতিল পরে গিয়ে গরম ডাল তার স্ত্রীর শরীরের বিভিন্ন অংশে ছিটকে পড়ে এ ঘটনা ঘটে।