শুক্রবার গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেনিং (বিপসট) পরিদর্শনে গিয়ে তিনি বলেন, শান্তিরক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
ওবামা প্রশাসনের ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই সহকারী মন্ত্রী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুই দিনের সফরে ঢাকা আসেন। এক বছরের মধ্যে ঢাকায় এটি তার দ্বিতীয় সফর।
নির্বাচনের আগে গত বছরের ১৬ নভেম্বর নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হরতাল, অবরোধ ও রাজনৈতিক সহিংসতার মধ্যে প্রথমবারের মতো ঢাকায় এসে সমস্যা সমাধানে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপের চেষ্টা করেছিলেন বিসওয়াল।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে বিপসটে এসে পৌঁছালে ইনস্টিটিউটের কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল মাকসুদুর রহমান সফররত মার্কিন মন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
বিসওয়ালকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা এবং বিপসট-এর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করা হয়। এ সময় বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান মজীনাসহ দুই দেশের ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে সফরকারী প্রতিনিধিদল ইনস্টিটিউটের আভ্যন্তরীণ ও মাঠ পর্যায়ের প্রশিক্ষণ সহায়ক সুবিধা এবং ‘বিদ্রোহী দল দ্বারা আক্রান্ত’ জাতিসংঘ উদ্বাস্ত শিবিরে বসবাসরত বেসামরিক ব্যক্তিদের উদ্ধারে শান্তিরক্ষা বাহিনীর অভিযানের মহড়া দেখেন।
আইএসপিআরের তথ্য অনুযায়ী, বিপসটে দেশি-বিদেশি শান্তিরক্ষীরা শান্তিরক্ষা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ নেন।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিসওয়াল বলেন, “পৃথিবীর শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় বাংলাদেশ জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণকারী সবচেয়ে বড় দেশ। শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশ নেতৃত্ব স্থানে রয়েছে।”
শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্বপালনের বিভিন্ন সময় প্রাণ হারানো ১১৮ জন বাংলাদেশির প্রতি তিনি শ্রদ্ধা জানান এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বিকালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং সংসদে বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম রওশন এরশাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিসওয়াল।