জুবায়ের হত্যা: সাক্ষ্য শেষে আত্মপক্ষ সমর্থনে তারিখ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র জুবায়ের আহমেদ হত্যা মামলায় আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ৭ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছে ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Nov 2014, 07:00 AM
Updated : 28 Nov 2014, 07:00 AM

বিচারক এবিএম নিজামুল হক রাষ্ট্রপক্ষের ৩৭ সাক্ষীর মধ্যে ২৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া শেষে বৃহস্পতিবার আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য এ দিন ঠিক করেন।

ট্রাইবুনালে এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের নতুন কৌঁসুলি তাছলিমা ইয়াসমিন দিপা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বৃহস্পতিবার আলোচিত এ হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক মীর শাহীন শাহর সাক্ষ্য শেষ হওয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্য নেওয়া।

ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের কোন্দলে ২০১২ সালের ৮ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই জুবায়ের আহমেদকে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। পরদিন রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জুবায়ের।

জাবির ৩৭তম ব্যাচের ইংরেজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র জুবায়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজবুর রহমান হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। তার বাড়ি পটুয়াখালীর কলাপাড়ায়।

হত্যার ঘটনায় জাবির সাবেক নিবন্ধক (রেজিস্ট্রার) হামিদুর রহমান বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন।

ফাইল ছবি

২০১২ সালের ৮ এপ্রিল জুবায়েরকে হত্যার অভিযোগে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৭তম ব্যাচের ১৩ ছাত্রকে অভিযুক্ত করে ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার সাবেক উপ-পরিদর্শক মীর শাহীন শাহ পারভেজ।

গত বছরের ১৩ অগাস্ট মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়।

নিহতের ভাই সিলেটের একটি বেসরকারি বিশ্বদ্যিালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক আবদুল্লাহ আল মামুন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "এ মামলায় এমনিতেই ছয়জন জামিন নিয়ে পলাতক হয়েছেন। অবশিষ্ট সাত জনের মধ্যে বৃহস্পতিবার শুধু দুই আসামি (নাজমুস সাকিব তপু এবং নাজমুল হুসাইন প্লাবন) আদালতে হাজির ছিলেন।"

তার আশঙ্কা আগামী তারিখে আসামিরা আদালতে আসবেন না।

পাশাপাশি পলাতক আসামিরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্বদ্যিালয়ের আবাসিক হলে থাকার তথ্য পুলিশের কাছে থাকলেও তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন মামুন।

মামলার ফলাফল নিয়ে নিজের উদ্বেগের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, "ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা এ মামলাটি কখনোই গুরুত্বের সঙ্গে নেননি। অজানা কারণে তারা ভালোভাবে মনোযোগও দেননি।"

এ মামলায় আসামিরা সাক্ষীদের অনবরত হুমকি ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক ৪ আসামির জামিন বাতিল করেন।

এ সময় আদালত কর্তৃপক্ষের অবহেলায় বিচারকের কাঠগড়া থেকে পালিয়ে যায় চার আসামি।