সম্মাননাপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন- অভিনয় শিল্পী ফেরদৌসী মজুমদার ও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ সভাপতি নারী নেত্রী আয়শা খানম।
শুক্রবার সকালে অ্যাসোসিয়েশনের তৃতীয় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তাদের এ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান সম্মানা ক্রেস্ট ও উত্তরীয় প্রদান করেন।
ফেরদৌসী মজুমদার ও আয়শা খানম অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে সম্মাননা গ্রহণ করেন। বেবী মওদুদের পক্ষে সম্মাননা গ্রহণ করেন তার ছেলে রবিউল ইসলাম।
বেবী মওদুদের মানপত্রে বলা হয়, নারীর অগ্রযাত্রায় আজীবন কাজ করে গেছেন তিনি। শারীরিকভাবে তিনি আমাদের মাঝে না থাকলেও তার কাজই তাকে বন্ধু ও সহযোদ্ধা এবং পরবর্তী প্রজন্মের কাছে আলোকবর্তিকা করে রাখবে।
আনুষ্ঠানিক নাম এ এন মাহফুজা খাতুন হলেও সবাই তাকে চিনতেন বেবী মওদুদ নামে।
১৯৬৭ সাল থেকে সাংবাদিকতায় যুক্ত বেবী মওদুদ দৈনিক সংবাদ, বিবিসি, দৈনিক ইত্তেফাক, বাসস ও সাপ্তাহিক বিচিত্রায় দীর্ঘদিন কাজ করার পর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে যোগ দেন।
মুক্তিযুদ্ধের আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থাকার সময় পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য হিসেবে ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত হন বেবী মওদুদ।
১৯৭১ সালে বাংলায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেয়ার আগে ১৯৬৭-৬৮ সময়ে রোকেয়া হল ছাত্রী সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।
নব্বইয়ের দশকে যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তির দাবিতে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আন্দোলন সংগঠনে সক্রিয় ছিলেন ছিলেন বেবী মওদুদ।
সাংবাদিকতার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে নিয়মিত লেখালেখিতে যুক্ত ছিলেন বেবী মওদুদ। লিখেছেন শিশু-কিশোরদের জন্যও। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ সম্পাদনাতেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
সকালে রোকেয়া হলের সাবেক ছাত্রীদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ অধ্যাপক হামিদা আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ঢাকা ইউনির্ভাসিটি অ্যালানমাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রকিব উদ্দিন আহমেদ, রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক নাজমা শাহীন, রোকেয়া হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি রওশান আরা ফিরোজ ও সাধারণ সম্পাদক মরিয়ম বেগম প্রমুখ।