বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে ন্যাশনাল সিটি হলে সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের সমাপনীর আগে আগামী শীর্ষ সম্মেলন পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা করা হয়।
সমাপনী ভাষণে নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা ঘোষণা দেন, আট দেশের এই সংস্থার ১৯তম শীর্ষ সম্মেলন পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হবে।
পরবর্তী সার্ক সম্মেলন আয়োজনে পাকিস্তান সম্মত হওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে ধন্যবাদ জানান সুশীল কৈরালা।
নওয়াজ শরিফও তার ধন্যবাদ বক্তব্যে আগামী সম্মেলন পাকিস্তানে অনুষ্ঠানের সুযোগ দেওয়ায় সার্ক নেতাদের ধন্যবাদ জানান ।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফসহ সার্ক সদস্য দেশগুলোর সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানরা দুদিনব্যাপী এই সম্মেলনে অংশ নেন।
সকালে নরেন্দ্র মোদী, নওয়াজ শরীফ, শেখ হাসিনা, শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট মাহিন্দ রাজাপাকসে, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে, আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানি, নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা এবং মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামিন আব্দুল গাইয়ুমের উপস্থিতিতে আট দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা জ্বালানি সহযোগিতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
জ্বালানি সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরের পর সুশীল কৈরালা বলেন, অচিরেই সার্ক আঞ্চলিক রেল সহযোগিতা চুক্তি এবং সার্ক পণ্য ও যাত্রীবাহী মোটরযান চলাচল চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।
“না হওয়া চুক্তি দুটির বিষয়ে আগামী তিন মাসের মধ্যে সদস্য দেশগুলোর যোগাযোগমন্ত্রীরা বৈঠক করবেন”, বলেন কৈরালা।
পরে সার্ক নেতারা ফটোসেশনে অংশ নেন। সম্মেলন শেষের পর সার্ক সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানরা নেপালের রাষ্ট্রপতি রাম বরণ যাদবের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন।
রাতে তারা নেপালের রাষ্ট্রপতির দেওয়া নৈশভোজে যোগ দেন।
এর আগে বুধবার সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে সার্ক সদস্যভুক্ত রাষ্ট্রগুলোর নেতারা সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা, স্থিতিশীল শান্তি অর্জন ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারের ওপর গুরুত্ব দেন।
এর আগে ১৯৮৮ সালের ডিসেম্বরে চতুর্থ সার্ক শীর্ষ সম্মেলন ও ২০০৪ সালের জানুয়ারিতে দ্বাদশ সার্ক শীর্ষ সম্মেলনও ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হয়।