জঙ্গিদের সহায়তা দিয়ে বরখাস্ত দুই পুলিশ

চট্টগ্রামে পাকিস্তানি নাগরিকসহ জঙ্গি সন্দেহে আটকদের মোবাইল ফোনে কথা বলার সুযোগ এবং জঙ্গিদের টাকা নিজেদের কাছে রাখার অপরাধে চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের দুই কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Nov 2014, 04:12 PM
Updated : 27 Nov 2014, 04:12 PM

তারা হলেন- খোরশেদ আলম ও  মো. আইয়ূব আলী।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অর্থ ও প্রশাসন) এ কে এম শহীদুর রহমান বলেন, জঙ্গি সন্দেহে গ্রেপ্তারদের মোবাইল ফোনে কথা বলিয়ে দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ আসায় তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

তদন্তের পর এই দুই কনস্টেবলের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জঙ্গি সন্দেহে গ্রেপ্তারদের ফোনালাপ করিয়ে দেওয়ার অভিযোগে খোরশেদ আলমকে এবং গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে জব্দ করা ৮০ হাজার টাকা নিজের কাছে রাখায় আইয়ূব আলীকে বরখাস্ত করা হয়েছে।”

গত রোববার নাসিরাবাদের হোটেল ‘লর্ডস ইন’ থেকে পাকিস্তানি নাগরিক মোহাম্মদ আলমসহ পাঁচজনকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ।

আলম নেদারল্যান্ডসভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘গ্লোবাল রোহিঙ্গা সেন্টার’র পরিচালক। 

গ্রেপ্তার অন্য চারজন হলেন- আবদুল মজিদ (৪১), মো. আমিন (৫০), মো. শফিউল্লাহ (৩৮) ও ছালামত উল্লাহ (৪০)।

গ্রেপ্তারের পর নগর পুলিশের একটি দল পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠায়।

বুধবার দুপুরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।

এদের সঙ্গে রোহিঙ্গা সলিডারিটি অরগানাইজেশনের (আরএসও) সঙ্গে সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে পুলিশের ধারণা।

গ্রেপ্তার শফিউল্লাহ নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক হলেও আরএসও’র একটি পক্ষের নেতৃত্বস্থানীয় বলে জানা গেছে।

এছাড়া ছালামত উল্লাহও আরএসও’র ওই পক্ষের শীর্ষ পদে আছেন বলে গোয়েন্দাদের কাছ থেকে জানা গেছে।