রাবি শিক্ষক হত্যা মামলায় ৪ জন রিমান্ডে

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক এ কে এম শফিউল ইসলাম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তিন শিবিরকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবারো রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।

রাজশাহী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Nov 2014, 12:55 PM
Updated : 27 Nov 2014, 12:55 PM

তাদের সঙ্গে রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে র্যাভবের হাতে গ্রেপ্তার অটোরিকশা চালককেও।

বৃহস্পতিবার দুপুরে শুনানি শেষে রাজশাহীর মহানগর হাকিম শারমিন আক্তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদের মধ্যে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার শিবির কর্মী জিন্নাত আলী, সাগর ও আরিফকে তৃতীয় দফায় দুই দিনের এবং র্যা বের হাতে আটক অটোরিকশা চালক ইব্রাহিম খলিল ওরফে টোকাই বাবুকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক।

রাজশাহীর হাকিম আদালতের পুলিশ পরিদর্শক আবুল হাশেম জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও

মতিহার থানার ওসি আলমগীর হোসেন এই চার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মঙ্গলবার আট দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিলেন।

আলমগীর হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জিন্নাত, সাগর ও আরিফকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তৃতীয় দফায় রিমান্ডে আনা হয়েছে। আর ইব্রাহীম খলিল ওরফে টোকাই বাবুকে প্রথম দফা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

গত ১৫ নভেম্বর ক্যাম্পাস সংলগ্ন চৌদ্দপাই এলাকায় নিজের বাসার কাছে খুন হন শফিউল। এর পর ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এছাড়া রাজশাহীর যুবদল এবং ছাত্রদল নেতাসহ ছয়জনকে আটক করে র্যা ব। পরে ওই হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অটোরিকশাসহ চালককেও আটক করা হয়।

হত্যাকাণ্ডের পর জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা এবং জামায়াতে ইসলামীর যোগসূত্র থাকার সন্দেহ নিয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। নিহতের ছেলেও একই ধরনের সন্দেহের কথা বলেছিলেন।

তবে রাজশাহীর যুবদল এবং ছাত্রদল নেতাসহ ছয়জনকে আটকের পর গত রোববার ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে র্যাব দাবি করে, ‘ব্যক্তিগত অপমানের’ প্রতিশোধ নিতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটায় এই ব্যক্তিরা।

এরপর পুলিশও একই পথে তদন্ত শুরু করে। বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহীর পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ শামসুদ্দিন বলেন, র্যাবের হাতে আটক ছয়জন ব্যক্তিগত কারণ থাকার যে তথ্য দিয়েছে, তদন্ত সেদিকেই এগোচ্ছে। তবে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা ও জামায়াতে ইসলামীর যোগসূত্র থাকার সন্দেহও তারা বাদ দিচ্ছেন না।