নিহত আশরাফ আলী (২৯) সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের বড়হামকুড়িয়া গ্রামের মৃত বাহাজ আলীর ছেলে।
সদর থানার এসআই বদিউজ্জামান বলেন, বূধবার গভীর রাতে অভিযোগ পেয়ে আশরাফের লাশ উদ্ধারের পর বৃহস্পতিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের বড় বোন হুসনা খাতুন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিয়ের পর সামান্য কিছু টাকা দিয়ে ভাবী নাসিমা খাতুন কৌশলে আমাদের তিন বোনের ভাগের সম্পত্তির অংশ লিখে নিয়েছে। সম্প্রতি ওই জমির অধিকাংশ বিক্রি করে সেখান থেকে চার লাখ টাকায় ভাবী তার নিজের ভাই বক্কারকে বিদেশে পাঠিয়েছে।”
টাকা ফেরত চাওয়ায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হত জানিয়ে তিনি বলেন, “একটি প্রকল্পের কাজ করানোর কথা বলে শনিবার ভাবী আমার ভাইকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে।”
তবে হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে নিহতের স্ত্রী নাসিমা খাতুন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তার পাতলা পায়খানা হয়েছিল। স্যালাইন খাওয়ানোর পর হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মারা যায়।”
এ ঘটনায় আশরাফের স্ত্রীর বিরুদ্ধে তার মা ও বোন হত্যা মামলা করতে চাইলেও পুলিশের পরামর্শে তারা জিডি করেছেন।
ময়নাতদন্তে হত্যার আলামত পাওয়া গেলে তা হত্যা মামলায় রূপান্তর হবে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে এসআই বদিউজ্জামান বলেন, “নিহতের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন বা মুখে বিষের কোনো গন্ধ নেই। ময়নাতদন্ত ছাড়া মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা সম্ভব নয়।
“এ কারণে নিহতের মায়ের অভিযোগ জিডি হিসাবে নেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তে হত্যার আলামত পাওয়া গেলে পরবর্তীতে সেটি হত্যা মামলায় রূপান্তর হবে।”