অবরোধ চলছে ফুলবাড়ীতে

কয়লা খনি প্রকল্প বাস্তবায়নে এশিয়া এনার্জির প্রধান অপারেশন কর্মকর্তার অবস্থানের প্রতিবাদ এবং সংস্থাটির অফিস প্রত্যাহারের দাবিতে দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে সড়ক অবরোধ চলছে।

দিনাজপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Nov 2014, 06:32 AM
Updated : 27 Nov 2014, 06:32 AM

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি এবং সম্মিলিত পেশাজীবী সংগঠনের ডাকে এ অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়।

এই দুই সংগঠনের কর্মী সমর্থক ও স্থানীয়রা সকাল থেকে ফুলবাড়ী শহরের নিমতলা মোড়ে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখায় ফুলবাড়ীর সঙ্গে দিনাজপুর, গোবিন্দগঞ্জ ও বিরামপুরসহ সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

কর্মসূচির সমর্থনে ফুলবাড়ী সদরের খাবার ও জরুরি ওষুধের দোকান ছাড়া সব দোকানপাট সকাল থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে।

এশিয়া এনার্জির কর্মকর্তা গ্যারিলাই দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে গিয়ে বৈঠক করছেন খবর পেয়ে বুধবার বেলা ১১টার দিকে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে হামলা চালায় স্থানীয়রা।

এ সময় দুটি গাড়ি ভাংচুর করা হয় এবং বিক্ষুব্ধরা প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে। এতে ফুলবাড়ীর সঙ্গে অন্যান্য জেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকে।

এরপরই তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি এবং সম্মিলিত পেশাজীবী সংগঠন এই অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে।

সম্মিলিত পেশাজীবী সংগঠনের আহ্বায়ক এবং ফুলবাড়ীর পৌর মেয়র মানিক সরকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "খনিবিরোধী আন্দোলনে ফুলবাড়ী চুক্তির ছয় দফার মধ্যে অন্যতম দাবি ছিল ফুলবাড়ী থেকে এশিয়া এনার্জির অফিস স্থায়ীভাবে প্রত্যাহার।

"কিন্তু সেই অফিস প্রত্যাহার না করে আবার নতুন করে খনি বাস্তবায়নের ষড়যন্ত্র চলছে। বুধবার গ্যারিলাই ফুলবাড়ীতে এসে বৈঠকে করেছেন।"

২০০৬ সালে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী কয়লাখনি প্রকল্প বাতিল এবং এশিয়া এনার্জিকে প্রত্যাহারের দাবিতে এলাকাবাসীর মিছিলে গুলিতে তিনজন নিহত হন। আহত হন দুই শতাধিক মানুষ।

রক্তাক্ত ওই ঘটনার পর খনির কাজ বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয়দের প্রতিরোধের মুখে এরপর আর কাজ এগোতে পারেনি খনি বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা এশিয়া এনার্জি।

এশিয়া এনার্জির তৎকালীন তথ্য অনুযায়ী, খনি বাস্তবায়ন করলে পাঁচ হাজার ৯৩৩ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এর মধ্যে কৃষি জমির পরিমাণ চার হাজার ৭৬২ হেক্টর। খনির মেয়াদকালে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ ও প্রায় ২০ হাজার স্থাপনা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।