‘সার্কে শুধু অর্থনৈতিক যোগাযোগই যথেষ্ট নয়’

কেবল অর্থনৈতিক যোগাযোগ সার্কভুক্ত দেশগুলোর স্থায়ী শান্তি ও উন্নতির জন্য যথেষ্ট নয় বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র।   

নুরুল ইসলাম হাসিব কাঠমাণ্ডু থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Nov 2014, 06:51 PM
Updated : 26 Nov 2014, 06:51 PM

এর পাশাপাশি স্বচ্ছ ও জবাদিহিমূলক শক্তিশালী গণতান্ত্রিক সরকারের প্রয়োজন রয়েছে বলেও মনে করছে দেশটি।

বুধবার নেপালের কাঠমান্ডুতে অষ্টাদশ সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল তার দেশের অবস্থান প্রকাশ করেন।

সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্বকারী বিসওয়াল বলেন, “সার্ক জোটভুক্ত দেশগুলোর সরকাররা যদি আরও স্বচ্ছ জবাবদিহিমূলক এবং জনগণের সরকার হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারে, তাহলে নেতিবাচক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আরও কার্যকরি লড়াই সম্ভব।

“আর এর পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার মানুষের জন্য আরও আশাবাদী ভবিষ্যতও নিশ্চিত করা সম্ভব।”

২০০৭ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক জোট সার্ক সম্মেলনে পর্যবেক্ষক হিসেবে যোগ দিয়ে আসছে। কাঠমান্ডুর সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে এবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ৯টি পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।

গত ১৮ মাসে সার্কভুক্ত বিভিন্ন দেশগুলোর নির্বাচন নিয়ে সন্তোষ জানিয়ে বিসওয়াল বলেন, “দক্ষিণ এশিয়ার গণতন্ত্রের উন্নয়নে এই নির্বাচনগুলো অত্যাবশ্যক ছিল। দক্ষিণ এশিয়ার জন্য এটি গর্বের বিষয় যে এখানকার প্রত্যেকটি দেশেই এখন গণতন্ত্র রয়েছে।”

বক্তৃতায় বিসওয়াল নেপাল ও ভারতের মধ্যে সাম্প্রতিক জ্বালানি বাণিজ্য চুক্তির প্রশংসা করেন। 

তিনি বলেন, এ বছর সার্কের মূল স্লোগান ‘শান্তি ও সমৃদ্ধিতে নিবিড়তর সম্পর্ক স্থাপন’, যা অত্যন্ত সময়োপযোগী। কেননা ২০৬০ সালের মধ্যে এ অঞ্চলটি পৃথিবীর সবচেয়ে জনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে পরিণত হবে।

তিনি দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশের উদ্দেশে বলেন, বাণিজ্য ও ট্রানজিটের মাধ্যমে আঞ্চলিক যোগাযোগ স্থাপনের এখনই সময়। আর এক অঞ্চলে অন্য পণ্য ও মানুষ যাতায়াত, জ্বালানি বাণিজ্য এবং নদীর পানির অংশীদারিত্ব হতে পারে এই যোগাযোগের বিনিময় মাধ্যম।

সার্কের আঞ্চলিক সহযোগিতা ও নিবিড় সম্পর্ক স্থাপনের প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র সব ধরনের সহযোগিতা করবে বলে জানান তিনি।

এদিকে সার্ক সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পর বৃহস্পতিবারই ঢাকায় আসছেন বিসওয়াল।

ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তিনদিনের ওই সফরে বিসওয়াল সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, বিরোধীদলের নেতা, কারখানা শ্রমিক ও ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে দেখা করবেন।

ঢাকা সফর শেষে উজবেকিস্তানের তাসখন্দে একটি বার্ষিক আলোচনা সভায় বিসওয়ালের যোগ দিতে যাওয়ার কথা রয়েছে।