এবার বাংলাদেশের গোয়েন্দারা যাচ্ছেন ভারতে

বর্ধমানে বিস্ফোরণ তদন্তে ভারতের গোয়েন্দাদের বাংলাদেশ সফরের পর এবার নয়া দিল্লি যাচ্ছে বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের একটি প্রতিনিধি দল।

কামাল তালুকদারবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Nov 2014, 06:32 PM
Updated : 26 Nov 2014, 06:32 PM

দুই মাস আগে পশ্চিমবঙ্গের ওই বিস্ফোরণকাণ্ডে বাংলাদেশের জঙ্গিদের সম্পৃক্ততার তথ্য উঠে আসার পর প্রতিবেশী দুই দেশ তথ্য বিনিময়সহ সন্ত্রাস দমনে একযোগে কাজ করতে একমত হয়।

এর অংশ হিসেবে ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থার একটি প্রতিনিধি দলের সফরের এক সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশের গোয়েন্দারাও তথ্য সংগ্রহে যাচ্ছেন।

বাংলাদেশের সাত সদস্যের প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবারই ঢাকা ছাড়তে পারেন বলে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।     

বুধবার রাতে তিনি বলেন, “সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল যাচ্ছে। তারা আগামীকালই রওনা হতে পারেন।”

এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি হননি প্রতিমন্ত্রী।  

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি সূত্র জানায়, এই প্রতিনিধি দলে এনএসআই’র পরিচালক কর্নেল আবু হেনা মোস্তফা কামাল, র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুল কালাম আজাদ, গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম, পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) অতিরিক্ত ডিআইজি আজিজুর রহমান, সিআইডির এসএস আশরাফুল ইসলাম, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার (ডিজিএফআই) মেজর আতিক এবং পুলিশ সদর দপ্তরের কর্মকর্তা মাহফুজ আহমেদ রয়েছেন।

বর্ধমানের ঘটনায় বাংলাদেশি জঙ্গিদের সম্পৃক্ততা নিয়ে তিন দিনের এই সফরে এরা এনআইএসহ ভারতের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছে ওই সূত্র।

গত ১৯ নভেম্বর ঢাকায় এনআইএ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেছিলেন, বাংলাদেশের গোয়েন্দাদেরও সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ভারতের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।

ওই সময় দুই দেশের কর্মকর্তাদের বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভারতের ভূখণ্ডে জঙ্গি বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঠেকাতে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ ও তথ্য বিনিময়ের বিষয়ে একমত হন তারা।

বর্ধমান বিস্ফোরণকাণ্ডে জড়িতদের বড় একটি অংশ বাংলাদেশের নিষিদ্ধ সংগঠন জেএমবির সদস্য বলে ভারতের গোয়েন্দাদের দাবি, এর মধ্যে কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করেছে তারা।  

ঢাকা সফরে এনআইএ কর্মকর্তারা

সফরে বিষয়টি তুলে ধরে ১১ জনের একটি তালিকা দেয় এনআইএ, যারা বাংলাদেশে পালিয়ে আছে বলে তাদের সন্দেহ।

অন্যদিকে র‌্যাবের পক্ষ থেকে ১০ জঙ্গিসহ ৫১ জনের একটি তালিকা দেওয়া হয় এনআইএকে, যারা ভারতে পালিয়ে আছেন বলে বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সন্দেহ।  

ওই তালিকায় থাকা জঙ্গিদের মধ্যে রয়েছেন জেএমবির বর্তমান আমির সোহেল মাহফুজ, ত্রিশালে পুলিশ হত্যা করে জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় পলাতক জেএমবি সদস্য সালাউদ্দিন সালেহীন ওরফে সানি ও জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমারু মিজান, আনোয়ারুল ইসলাম, সাখাওয়াত ও আবু সাঈদ শেখ হোসাইন।

এনআইএ দাবি করেছে, বর্ধমান বিস্ফোরণ তদন্তে গিয়ে তারা বাংলাদেশে জেএমবির হামলার পরিকল্পনার একটি তথ্য জানতে পেরেছে তারা, যে আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু দুই নেত্রী শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া।