সার্কের অষ্টাদশ শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের পর বুধবার বিকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে তিনি এই প্রশংসা করেন।
ক্রাউন প্লাজা কাঠমান্ডু - সোয়ালটিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকের পর পাকিস্তানের সরকার প্রধানের সঙ্গে আলোচনা করেন শেখ হাসিনা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী সাংবাদিকদের বলেন, “সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে আমাদের সাফল্যের প্রশংসা করেছেন নওয়াজ শরিফ।”
সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে পাকিস্তানও সাম্প্রতিক সময়ে কিছুটা সাফল্য অর্জন করেছে বলে নওয়াজ তুলে ধরেছেন।
বৈঠকে শেখ হাসিনা ও নওয়াজ দু’দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সৌর বিদ্যুতে বাংলাদেশের অর্জিত সাফল্যের বিষয়টি শেখ হাসিনা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেন।
সৌর বিদ্যুতে বাংলাদেশের সাফল্যের অভিজ্ঞতা অর্জনে পাকিস্তান থেকে একটি প্রতিনিধিদল পাঠানোর বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন নওয়াজ।
নওয়াজের আগে ক্রাউন প্লাজা কাঠমান্ডু- সোয়ালটিতে সম্মেলনের স্বাগতিক দেশ নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালার সঙ্গে বৈঠক করেন শেখ হাসিনা।
ওই বৈঠকে দু’দেশের আন্তঃযোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার এবং সার্ক দেশগুলোর যৌথ প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারের মাধ্যমে সমষ্টিগত সমৃদ্ধির প্রত্যয় ব্যক্ত করেন দুই নেতা।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নেপালের বিপুল জলবিদ্যুৎ সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এছাড়াও বাংলাদেশ থেকে ওষুধ, তৈরি পোশাক, চামড়াজাত পণ্য, সিরামিক, সবজি এবং কৃষিজাত পণ্য নেপালে রপ্তানির আগ্রহও প্রকাশ করেন তিনি।
এদিন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানির সঙ্গেও বৈঠক করেন শেখ হাসিনা।
বৈঠকে আন্তঃযোগোযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার এবং আঞ্চলিক ও সামষ্টিক সমৃদ্ধি অর্জনের সম্ভাবনার কথা আলোচিত হয়েছে বলে জানান মাহমুদ আলী।
দারিদ্র্য দূরীকরণে বাংলাদেশের অর্জিত সাফল্যের প্রশংসাও করেন আশরাফ গানি।
চার সরকার প্রধানের সঙ্গে বৈঠকের পর রাতে সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সৌজন্যে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নৈশভোজে যোগ দেন শেখ হাসিনা।