বুধবার বেলা ১১টার দিকে এ হামলার সময় দুটি গাড়ি ভাংচুর করে বিক্ষুব্ধরা। এ সময় প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে তারা। এতে এ ফুলবাড়ীর সঙ্গে অন্যান্য জেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকে।
হামলার সময় এশিয়া এনার্জির চিফ অব অপরেশন গ্যারিলাইসহ প্রতিষ্ঠানটির কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা সেখানে উপস্থিত থাকলেও তারা অক্ষত আছেন বলে ফুলবাড়ী থানার ওসি রেজউল ইসলাম জানিয়েছেন।
বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, অনাকাঙিক্ষত ঘটনা এড়াতে ওই এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ফুলবাড়ীর পৌর মেয়র মানিক সরকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গ্যারিলাই ফুলবাড়ীতে অবস্থান করে এশিয়া এনার্জি কার্যালয়ে বসে বৈঠক করছিলেন। স্থানীয়রা বিষয়টি জানতে পেরে এশিয়া এনার্জির কার্যালয় ঘেরাও করে।
২০০৬ সালে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী কয়লাখনি প্রকল্প বাতিল এবং এশিয়া এনার্জিকে প্রত্যাহারের দাবিতে এলাকাবাসীর মিছিলে গুলিতে তিনজন নিহত হয়। আহত হয় দুই শতাধিক মানুষ।
রক্তাক্ত ওই ঘটনার পর খনির কাজ বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয়দের প্রতিরোধের মুখে এরপর আর কাজ এগোতে পারেনি খনি বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা এশিয়া এনার্জি।
এশিয়া এনার্জির তৎকালীন তথ্য অনুযায়ী খনি বাস্তবায়ন করলে পাঁচ হাজার ৯৩৩ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এর মধ্যে কৃষি জমির পরিমাণ চার হাজার ৭৬২ হেক্টর। খনির মেয়াদকালে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ ও প্রায় ২০ হাজার স্থাপনা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।