১০ দাবিতে ধর্মঘটের ঘোষণা হেলথ টেকনিশিয়ানদের

কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও সনদের মান বৃদ্ধিসহ ১০ দফা দাবিতে রাজধানীতে মানববন্ধন করে বৃহস্পতিবার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে মেডিকেল টেকনোলজির শিক্ষার্থীরা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Nov 2014, 12:15 PM
Updated : 26 Nov 2014, 12:15 PM

বুধবার সকালে মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে এই মানববন্ধনে হেলথ/মেডিকেল টেকনোলজির সহস্রাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়।

দাবি আদায়ের এই কর্মসূচির আয়োজন করে বাংলাদেশ মেডিকেল টেকনোলজি অ্যান্ড ফার্মেসি স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিএমটিপিএসএ) নামের একটি সংগঠন।

বিএমটিপিএসএর আহ্ববায়ক মো. জসিম উদ্দিন জনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সরকারি উদ্যোগের অভাবে স্বাস্থ্যসেবার গুরুত্বপূর্ণ এই খাতের শিক্ষার্থীরা নানাভাবে বঞ্চিত হচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরে সরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে নিয়োগ নেই। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতেও বিধি না থাকায় সনদ বিবেচনা না করে পছন্দের লোকদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। ফলে তাদের ইনস্টিটিউট থেকে পাস করা হাজার হাজার শিক্ষার্থী চাকরিহীন থাকছেন।

কর্মসংস্থান সঙ্কটের সমাধানসহ হেলথ টেকনলজি শিক্ষাকে বিশ্বমানের করতে ১০ দফা দাবি জানায় আন্দোলনকারীরা।

তাদের অন্য দাবিগুলো হচ্ছে- প্রস্তাবিত ‘প্যারামেডিকেল শিক্ষাবোর্ডের’ পরিবর্তে ‘বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল এডুকেশন বোর্ড’ গঠন। ডিপ্লোমা মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের বেকারত্ব দূর করতে নতুন পদ সৃষ্টি করা। সরকারি চাকরিতে ডিপ্লোমা মেডিকেল ফার্মাসিস্ট ও টেকনোলজিস্টদের ২য় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার পদমর্যাদা ও বেতন স্কেল দেয়া। সরকারি আইএইচটিগুলোর ফার্মাসি ও রেডিওথেরাপিসহ সব অনুষদে বিএসসি ও এমএসসি কোর্স চালু এবং সব বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনায় চাকরি নীতিমালা করে সেখানে প্যারামেডিকেল শিক্ষার্থীদের চাকরির ব্যবস্থা করা।

মানববন্ধন থেকে জানানো হয়, ৮টি সরকারি ও ও ১০৩টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্সে প্রতি বছর ২৮০০ শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। প্রতিবছর সরকারি আইএইচটিগুলো থেকে ২৪শ এবং বেসরকারি আইএইচটি থেকে পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী বিভিন্ন কোর্স সম্পন্ন করে।

আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক জনি আরও বলেন, দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে বার বার আবেদন ও আল্টিমেটাম দিয়েও তারা কোনো সাড়া পাননি। তাই আন্দোলনের অংশ হিসেবে তারা বৃহস্পতিবার দেশের সব আইএসটিতে ধর্মঘট পালন করবেন।