রাজশাহী র্যাবের উপ-অধিনায়ক মেজর শফিকুল ইসলাম জানান, বুধবার ভোর ৫টার দিকে নগরীর রেলস্টেশন এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়।
গত ১৫ নভেম্বর ক্যাম্পাস সংলগ্ন চৌদ্দপাই এলাকায় নিজের বাসার কাছে শফিউল খুন হওয়ার পর ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ বলেছিল, ‘জামায়াত নিয়ন্ত্রিত’ জঙ্গিরা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত।
এরপর রাজশাহীর যুবদল এবং ছাত্রদল নেতাসহ ছয়জনকে আটকের পর রোববার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব দাবি করে, কোনো জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা নয়, ‘অপমানের’ প্রতিশোধ নিতে ওই শিক্ষককে হত্যা করা হয়েছে।
র্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তাররা হলেন- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি আবদুস সামাদ পিন্টু (৩৪), কাটাখালী পৌর যুবদলের নেতা আরিফুল ইসলাম মানিক (৩৩), ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক ইব্রাহিম খলিল ওরফে টোকাই বাবু (২১), মুদি দোকানি সিরাজুল ইসলাম ওরফে কালু (২২), বেকার যুবক আল মামুন (৩১) ও মো. সবুজ শেখ (১৮)।
অটোরিকশাটি টোকাই বাবুর জানিয়ে উপ-অধিনায়ক শফিকুল বলেন, "হত্যাকাণ্ডের আগে এই অটোরিকশা করে সবুজ অস্ত্র নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়। হত্যাকাণ্ডের সময় অটোরিকশাটি ঘটনাস্থলের আশাপাশে রাখা হয়। হত্যার পর খুনিদের কয়েকজন অস্ত্রসহ এ অটোরিকশা করে পালিয়ে যায়।"
ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ কে এম শফিউল ইসলামকে খুন করা হয়েছে বলে র্যাব দাবি করলেও তা মানতে নারাজ এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত সংস্থা পুলিশ।
ছয়জনকে আটক করে র্যাবের বক্তব্যের এক দিনের মধ্যে রাজশাহী মহানগর পুলিশ সংবাদ সম্মেলন করে বলেছে, তাদের তদন্তে হত্যার পেছনে ব্যক্তিগত কোনো বিষয় খুঁজে পাওয়া যায়নি।